জনগণকে নিয়ে জঙ্গি প্রতিরোধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
https://www.obolokon24.com/2016/07/seakh-hasina_23.html
ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ছেলেমেয়েদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। আধুনিক লেখাপড়া শিখে ধমান্ধতায় কি করে ঝুঁকে যায় লোকজন। তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয় জঙ্গি চিন্তা, তার মূলটা বের করতে হবে। কারা এর পেছনে কাজ করছে সেটা বের করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার তেজগাঁওয়ে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জঙ্গিবাদে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদেরও তা প্রতিহত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রতিটি বাহিনীকে প্রযুক্তিতে উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি, এ দেশের মানুষকে ভালোবাসি। এ দেশের স্বাধীনতা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি পরিবার যেন ভালো থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা হয়েছে। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় রক্ষা পেয়েছি। একটা বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকি, যারা আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, আমার কারণে তাদের যেনো কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি গর্বিত যখন কোনো রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে। এসএসএফের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই তাদের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। ধর্মকে অবমাননা ও অসম্মানিত করা সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের মধ্যে কীভাবে ধর্মান্ধতা ঢুকছে, সেই শিকড় খুঁজে বের করতে হবে। এর পেছনে কারা কারা অর্থ দিচ্ছে, কারা ছেলেমেয়েদের মানসিক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, সেটা বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন পাল্টাচ্ছে। সে কারণে বাহিনীগুলোকে এটা নির্মূলে আধুনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা এখন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই প্রতিরোধেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পারদর্শী হতে হবে।