নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২৫
https://www.obolokon24.com/2016/07/kisargang_15.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৫ জুলাই॥
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের চরকবন্দ গ্রামে একটি পোল্ট্রি ফার্মের নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে পুলিশ গ্রামবাসী সংঘর্ষে চার পুলিশ কনস্টবলসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল থেকে চলা প্রায় তিনঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ চার রাউ- ফাকা গুলি ও চার রাউ- টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আহতদের কিশোরীগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার ওই গ্রামে নর্থ পোল্টি ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ চলছিল। এসময় ভুয়া দলিলে জায়গা দখলের অভিযোগ এনে গ্রামবাসী ওই নির্মাণকাজে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ করতে চাইলে গ্রামবাসীর সঙ্গে নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ সেটিকে নিবৃত্ত করতে গেলে গ্রামবাসী-পুলিশে ধাওয়া পাল্টাধারৗযা শুরু হয়। এসময় পুলিশ কনস্টবল আব্দুল হামিদ, হারুন ও মাহবুব জুয়েল নামে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। অপরদিকে গ্রামবাসীদের মধ্যে হাফিজার রহমান (৫৫) , আবদাল হোসেন (৫০), কানু বালা (৪০), অজিফা বেগম (৪৫), আছিয়া বেগম (৪০), ফাতেমা (৫০), নুর বানুসহ (৩৫) সহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়।
আহত গ্রামবাসী হাফিজার রহমান বলেন,‘নজুমামুদের পৈত্রিক জমিতে নর্থ প্লোট্রি ফার্মের মালিক ভুয়া দলিল দেখিয়ে দখল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার সময় আমরা বাধা দেই। এসময় ওই অন্যায়ের প্রতিবাদে গ্রামবাসী আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। কিন্তু পুলিশ এসে অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় ও গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে আহত আবদাল হোসেন নামে একজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাঁদখানা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. হাফিজার রহমান হাফি বলেন, বাধা করা সত্বেও ফার্মের লোকজন প্রাচীর নির্মাণ করতে আসলে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টাধাৗয়া হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য চেষ্টা করে নর্থ প্লোট্রির পরিচালক টিটু মিয়াকে পাওয়া যায়নি।
তবে সহকারী পুলিম সুপার সৈয়দপুর সার্কেল) জিয়াউল রহমান বলেন, সেখানে বিরোধপূর্ণ একটি জায়গায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার সময় এলাকাবাসী বাধা দেয়। এতে ওই ফার্মের লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে সেখানে পুলিশ গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এলাকাবাসী। এতে চার পুলিম সদস্য আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। পুলিশ চার রাউ- শর্ট গানের ফাকা গুলি ও চার রাউ- টিআর সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোন গ্রামবাসী সেখানে আহত হয়নি। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।