ব্যাপক ধারনার অভাবে কৃষকরা জানছেনা সঠিকভাবে পাট জাগ দেওয়ার পদ্ধতি
https://www.obolokon24.com/2016/07/jute.html
সাবেক পদ্ধতি |
জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফসলের মধ্যে পাটের স্থান শীর্ষে। জাতীয় অর্থনীতিতে পাটের গুরুত্ব অপরিসীম, পাটকে আমরা সোনালী আঁশ বলি এবং বাংলাদেশের গৌরব মনে করি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়োচিত পদক্ষেপ না নেওয়ায় কিংবা অবজ্ঞার কারণে এবং কৃষকের অজ্ঞতার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক এবং দেশ উভয়েই। সমন্বিত উফশি পাট ও পাটবীজ উৎপাদন ও উন্নত পাট পঁচন প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সঠিকভাবে জাগ দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
সঠিকভাবে জাগ দেওয়ার পদ্ধতি |
তবে প্রশিক্ষন লদ্ধ জ্ঞানের ব্যবহার করলে উন্নত পাট চাষ ও পাট বীজ উৎপাদন এবং পাট পঁচন মোটেই অসম্ভব নয়। প্রয়োজন ছিল পাট কাটার প্রাককালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন ধরনের একটি প্রোষ্টার এবং প্রচারনা যেখানে থাকবে সঠিকভাবে জাগ দেওয়ার পদ্ধতি, সাবেক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাট পঁচনে কৃষকের আর্থিক ক্ষতির দৃশ্য। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত এরকম প্রোষ্টার প্রচারনা চোখে পরেনি। ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ের ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষক ইমাম আলী, হামিদুল ইসলাম ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তবে উন্নত পদ্ধতিতে পাট পচনের ব্যবস্থা না করার ফলে এসব পাট আশ নিম্ন মানের কালচে রং এ এবং কম দামে বাজারে বিক্রয় হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। উন্নত জাগ দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে পাট চাষিদের ব্যাপক ধারনা বা জ্ঞান থাকলে আমাদের অবাঞ্চিক আথিক ক্ষতি হতোনা।