ফ্রান্সে জনতার ওপর ট্রাক হামলা : নিহত ৮০
https://www.obolokon24.com/2016/07/franch.html
ডেস্কঃ
ফ্রান্সের নিস শহরে বাস্তিল দিবসের আতশবাজির উৎসবে জড়ো হওয়া জনতার ওপর ট্রাক হামলার ঘটনায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। গতকাল বৃহস্পতিবারের এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ৮ মাসের ব্যবধানে এটি দেশটিতে দ্বিতীয় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় এ বর্বর ঘটনার শিকার হয়েছেন নিরীহ মানুষ। পুলিশ চালককে গুলি করে হত্যা করে ট্রাকটিকে থামিয়েছে। এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বাস্তিল দিবস উদযাপন করতে বহু লোক ওই সময় শহরের বিখ্যাত প্রমেনেদ দে আঁগলাইসে জড়ো হয়েছিলেন ছিলেন। সেই ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ৭৫ টনি ওই ট্রাক ১০০ মিটারের বেশি রাস্তা এগিয়ে যায়।
নিস শহরটি ইতালি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ঘটনার পর স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪০ মিনিটে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ নিজ শহর আবিনিউ থেকে প্যারিসে গেছেন।
বাস্তিল দুর্গ পতনের দিবস হিসেবে ফ্রান্সে জাতীয়ভাবে দিনটি পালন করা হয়, এ উপলক্ষেই শহরটিতে নানা অনুষ্ঠান চলছিল। উৎসবে মাততে রাস্তায় নেমেছিল মানুষ।
স্থানীয় সরকারের প্রধান ক্রিস্তিয়ান এসত্রোসি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ট্রাকচালক গুলিও চালাচ্ছিল। ওই ট্রাকে অস্ত্র ও গ্রেনেডও পাওয়া গেছে।
শহরের মেয়র ক্রিস্তঁ এস্তরোসি টুইট করে এই ঘটনা নিসবাসীকে জানিয়ে সতর্ক করেছেন। একে একটি হামলার ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করে বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
টুইটারে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বহু লোক মানুষ রাস্তার ওপর পড়ে আছে। দিশেহারা হয়ে ছোটাছুটি করছে আতঙ্কিত মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, নিস শহরে যখন বাস্তিল দিবস উপলক্ষে একটি আতশবাজি প্রদর্শনী চলছিল, তখন বহু মানুষের ভিড়ের ওপর একটি ট্রাক গুলি করতে করতে উঠে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই অনেক মানুষ মারা গেছে।
শহরটির একজন বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা কয়েকটি গুলির শব্দও শুনতে পারি। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম যে, সেগুলো হয়তো আতশবাজির শব্দ। কিন্তু সবাইকে দৌড়ে পালাতে দেখে আমরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে আমরা একটি হোটেলে আশ্রয় নিই।
ঘাতক ট্রাকচালককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর সংকটকালীন জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্যারিসের থিয়েটার সেন্টারসহ তিন স্থানে একযোগে সন্ত্রাসী হামলায় ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়। বহু হতাহতের ওই ঘটনার পর থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা রয়েছে, তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল।