বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে নীলফামারীতে ৫৭টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই
https://www.obolokon24.com/2016/07/fire.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী,১৪ জুলাই॥
বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে ৫৭টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। এ সময় আগুনে পুড়ে মারা গেছে ৪টি গরু ৩টি ছাগল ও দুই শতাধিক হাঁস মুরগী। বুধবার রাত ১১টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে নীলফামারীর সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামে।ক্ষতির পরিবার প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করছেন সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল আসাদ মিয়া। তিনি এ পর্যন্ত ৫৭টি পরিবারের তালিকার কথা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মানিক জানান, রাত ১১টার টার দিকে ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের তেলীপাড়ার মুড়ি-মুড়কী ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহেদের বাড়ির রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই পাড়ার ৫৭টি পরিবারের অন্তত দুই শতাধিক পাকা-আধাপাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি, ঘরে থাকা আসবাবপত্র,ধান,চাল, আলু ও নগদ অর্থ পুড়ে ছাই হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ ওই পাড়ার গরু ব্যবসায়ী শাহিবার রহমান জানান, অগ্নিকান্ডে তার ৪টি ঘর, ঘরে থাকা আসববাপত্র, নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকাসহ সর্বস্ব পুড়ে যায়। এসময় গোয়াল ঘরে থাকা ৪টি গরু, ৩টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অন্যান্য পরিবারগুলোর প্রায় দুই শতাধিক হাস মুরগীও আগুনে পুড়ে প্রাণ হারায়।
নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নীলফামারী এবং উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ২টি ইউনিট সাড়ে তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদেও বাড়ির রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।