চিলাহাটী-হলদিবাড়ি রেলপথ পুনরায় স্থাপনে ভারতীয় অংশে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩১ কোটি টাকা মঞ্জুর।

হলদিবাড়ি সীমান্তে পরিদর্শনে ভারতের উত্তর-পূর্ব রেলের কাটিহারের ডিআরএম উমাশঙ্কর সিংহ যাদব।
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ

চিলাহাটী-হলদিবাড়ি রেলপথ পুনরায় স্থাপনের কাজ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।রেলপথ পুনরায় স্থাপনে ভারতীয় অংশে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩১ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন ভারতীয় সরকার।এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।পত্রিকাটির সূত্র থেকে জানা  যায়,রবিবার(১৭ জুলাই) হলদিবাড়ি স্টেশনে পরিদর্শনে আসেন ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম উমাশঙ্কর সিংহ যাদব। তিনি বলেন, “চিলাহাটী হলদিবাড়ি রেলপথ পুনরায় স্থাপনে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের হলদীবাড়ি অংশে ৪ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ এবং হলদিবাড়ি স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩১ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। উমাশঙ্কর সিংহ যাদব আরো বলেন,“এটি(হলদিবাড়ি) একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে পরিণত হবে। এখানে ফুডপ্লাজা, পার্ক সবকিছু নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ থেকে ট্রেন এসে দাঁড়াবে। তার জন্যে স্টেশন বিল্ডিং, প্ল্যাটফর্ম সবকিছু নতুন করে তৈরি করা হবে।’’ ”নীলফামারী জেলাবাসীর মত তার আশ্বাসে উচ্ছোসিত ও আশাবাসী হলদিবাড়ির স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশের দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি অসম বেঙ্গল রেলওয়ের উদ্যোগে ১৮৭০ সালে স্থাপন করা  হয়েছিল। ওই সময় ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও সৈয়দপুর এবং দর্শনা দিয়ে দাজিলিং মেইল ট্রেনটি কলকাতা চলাচল করতো। এ ছাড়া চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করতো একটি পাসপোর্ট ট্রেন। চালু ছিল স্থলবন্দর ও চেকপোস্ট। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ ও স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর উভয় দেশ স্থাপিত রেলপথটি ১৯৬৫ সালে উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে উভয় দেশের রেললাইন না থাকলেও রয়েছে রেলপথের অবকাঠামো।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9123976740069275003

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item