তিস্তা বিপদসীমায়
https://www.obolokon24.com/2016/06/tista_97.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,জাহাঙ্গীর আলম রেজা॥
তিস্তায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়িতে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত একহাজার মিটার দীর্ঘ বালির বাঁধের একশত মিটার ধ্বসে গেছে। নীলফামারী ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্ভাবাস সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্র মতে ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৬৫) উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। একই সুত্রমতে ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকার ডালিয়ায় বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১০৮ মিলিমিটার।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে তিস্তার বন্যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি, জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ড, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ,লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা,কালিগঞ্জ ,রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার তিস্তা নদী বেস্টিত চর ও চর গ্রামগুলোর এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়িতে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত একহাজার মিটার দীর্ঘ বালির বাঁধের একশত মিটার ধ্বসে গেছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য এলাকার শতশত মানুষজন বালিরবস্তা ও গাছ বাঁশের গুড়ি ও খুটি ফেলে রক্ষার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন।