পীরগাছায় প্রায় সোয়া কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে

ফজলুর রহমান, পীরগাছা প্রতিনিধি,রংপুরঃ পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধি ঃ

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা অনিয়মের কারণে রংপুরের পীরগাছায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে সংস্কারের নামে প্রায় সোয়া কোটি টাকার প্রকল্প ব্যহত  হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ১ শত ৭৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী-৩ এর আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় । বরাদ্ধকৃত অর্থ বৃহত্তম মেরামতের জন্য ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। টয়লেট মেরামতের জন্য ৩২টি প্রতিষ্টানকে ৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। বিদ্যালয় শিখন কার্যক্রম উন্নয়ন পরিকল্পনার(স্লিপ) জন্য ১শত ৭৯ টি প্রতিষ্ঠানে  ৭১ লাখ ৬০ হাজার। প্রাক-প্রাথমিক এর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ১শত ৭৯ টি প্রতিষ্টানে ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।  রুটিন মেরামতের জন্য ১শত ৩৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্ধ প্রদান করেন। গত মঙ্গল ও বুধবার (১৪,১৫ ও ১৯জুন) সরেজমিনে, কৈকুড়ি ইউনিয়নের জামিরজান, পূর্বমকরমপুরএসবি, ওমরখাঁ, কৈকুড়ি মধ্যপাড়া, মোংলাকুটি মধ্যপাড়া, দক্ষিণ কৈকুড়ি বালাপাড়া, কৈকুড়ি ছড়ারপাড় দীপন্তর, গুচ্ছগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। কান্দি ইউনিয়নের পাঠক শিকড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় , তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আরাজী দেবু ও তাম্বুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছাওলা ইউনিয়নের দামুস্বর আদর্শগ্রাম ও কামারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইটাকুমারী ইউনিয়নের পশুয়া মীরাপাড়া, রড়হায়াৎখাঁ ও ডাকুয়ার দিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্নদানগর ইউনিয়নের পঞ্চানন ও  সাতদরগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ৩০ টি প্রতিষ্ঠানে গেলে কাজের কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।
শুধুমাত্র তাম্বুলপুর ও মোংলাকুটি মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে অধ্যবদি কাজ শুরু হয়নি। ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পূর্বমকরমপুরএসবি, ২নং চর জুয়ান, পশুয়া মীরাপাড়া, দামুস্বর আদর্শগ্রামসহ বৃহত্তর, টয়লেট ও রুটিন মেরামতসহ প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠানে চলমান প্রকল্প গুলির সময়মাত্র ১০ দিন থাকলেও অদ্যবদি কাজ শুরু হয়নি। এমনকি রুটিন মেরামতের বরাদ্ধপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান শিক্ষকগণ পরিকল্পনা পত্রের জন্য নিয়মিত উপজেলা প্রকৌশল অফিসে ঘুরেও আজও পাননি। টয়লেট বরাদ্ধপ্রাপ্ত ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে সংষ্কারের কাজ না থাকলেও প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত বরাদ্ধ কাজ না করে ভাগবাটোয়ারার পরিকল্পনা করছে বলে জানা যায়। এবারের মেরামত কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীগণ মোট বরাদ্ধের ১০শতাংশ হতে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত দাবী করছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এবারে স্লিপের ৪০ হাজার টাকা এক সাথে প্রদান করার কারণে সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ কাজ না করেই হাতগুটিয়ে বসে আছেন।
এদিকে গুচ্ছগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপের কার্যক্রম একটি পতাকা স্টান্ড তৈরী করেই শেষ। অনুরুপভাবে কৈকুড়ি ছড়ারপাড় দীপান্তর, দক্ষিণ কৈকুড়ি বালাপাড়া, আরাজি গোপাল বালিকা, দক্ষিন ছাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ৫০টির অধিক বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র কাগজে কলমে ও অফিসে সুষ্ঠভাবে স্লিপ বাস্তবায়ন।
পক্ষান্তরে গোটা উপজেলা জুড়ে সর্বোচ্চ ২৫/৩০টি বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তাদেরকে ভূর্তুকি দিতে হয়।
এব্যাপরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিক-উজ-জামান বলেন, যদি কেউ কাজে ফাকিঁ দেই বিষয়টি পরে দেখব।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 877935261887526924

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item