ডিমলায় বিলিনের পথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি কাশ রুম
https://www.obolokon24.com/2016/06/dimla_27.html
জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,
উজানের ঢলের পানি কমলেও তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি সহ ৬টি গ্রামের উপর দিয়ে এখন তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই সব গ্রামের রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি সব তছনছ হয়ে গেছে। ওই এলাকার মধ্য চরখড়িবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি কাশ রুম বিলিন হতে শুরু করে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কটি বিলীন হয়েছে। এখন ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি তিস্তার পানি তোড়ে ফাটল সৃস্টি করে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যে কোন সময় নতুন ভবনটি ভেঙ্গে যেতে পারে।
এদিকে আজ সোমবার ফের ধীরে ধীরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকেন্দ্র সুত্র জানায় আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় সেটি আরো তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
২টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এক নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম সাধু জানান, গত দুই দফায় ২৩ ও ২৫ জুন তিস্তার উজানের ঢলের তান্ডবে তিনটি ওয়াডের ৬টি গ্রাম যথাক্রমে চরখড়িবাড়ি, মধ্য চড়খড়িবাড়ি পূর্বখড়িবাড়ি,টাপুরচর,ঝিঞ্জিরপাড়া মেহেরটারী পুরাতন টাপুরচর তছনছ হয়ে গেছে। গৃহহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কর্মহীন, গৃহহীন এ সকল পরিবারগুলো ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছে। এই ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়াডের ইউডি সদস্য গোলাম রব্বানী জানান তিস্তা নদী হঠাৎ গতিপথ পরিবর্তন করে চরখড়িবাড়ি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত এক হাজার মিটার বালির বাধ টি সর্ম্পুন বিলিন হয়ে গেছে। বাধটি বিলিন হওয়ার সাথে সাথে ৬টি গ্রাম তছনছ করে দিয়েছে তিস্তা।একই এলাকার আরাজুল ইসলাম (৫০) ােভের সাথে বলেন, আমরা এখন রিলিফ চাইনা, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা চাই।এদিকে চরখড়িবাড়ি সীমান্তে রয়েছে বিজিপির ক্যাম্প। এই ক্যাম্পটিও তিস্তার ভাঙ্গনের হুমকীর মুখে পড়েছে। ৭ বিজিবি পক্ষে ওই বিওপি ক্যাম্প থেকে মুল্যবান সম্পদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানায় এলাকাবাসী ত্রান চায়না তারা গ্রাম রক্ষার জন্য চায় প্রতিরক্ষা বাঁধ। এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন , ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, ইউএনও রেজাউল করিম। এলাকায় ১২ মেট্রিক টন চাল ও ৪০ হাজার টাকা বিতরন করা হয়েছে।এদিকে ডিমলা উপজেলা ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের পূর্বছাতুনামা ফরেষ্টের চরের ৭শত পরিবারের ঘরবাড়ির ভেতর দিয়ে নদীর পানি বয়ে যাচ্ছে বলে নববর্ািচিত ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান। তিনি বলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা ফসলের উপর নির্ভরশীল। চলতি আমনে তারা ৩০ মন ধানের বীজতলা তৈরী করেছিল। যা বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করতো তারা। সে সব আমনের বীজতলা সম্পূর্ন বিনস্ট হয়ে গেছে। অপর দিকে তিস্তার বন্যা ও ভাঙ্গনের শিকার হাজার হাজার পরিবার এখন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে খোলা আকাশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান এ পর্যন্ত দুই দফায় গত ২৩ জুন বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ও ২৫ জুন বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হলে ৫০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এখন তিস্তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার যে কোন সময় উজানের ঢল নেমে এলে তিস্তা ফের গর্জে উঠবে।
উজানের ঢলের পানি কমলেও তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি সহ ৬টি গ্রামের উপর দিয়ে এখন তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই সব গ্রামের রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি সব তছনছ হয়ে গেছে। ওই এলাকার মধ্য চরখড়িবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি কাশ রুম বিলিন হতে শুরু করে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কটি বিলীন হয়েছে। এখন ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি তিস্তার পানি তোড়ে ফাটল সৃস্টি করে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যে কোন সময় নতুন ভবনটি ভেঙ্গে যেতে পারে।
এদিকে আজ সোমবার ফের ধীরে ধীরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকেন্দ্র সুত্র জানায় আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় সেটি আরো তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
২টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এক নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম সাধু জানান, গত দুই দফায় ২৩ ও ২৫ জুন তিস্তার উজানের ঢলের তান্ডবে তিনটি ওয়াডের ৬টি গ্রাম যথাক্রমে চরখড়িবাড়ি, মধ্য চড়খড়িবাড়ি পূর্বখড়িবাড়ি,টাপুরচর,ঝিঞ্জিরপাড়া মেহেরটারী পুরাতন টাপুরচর তছনছ হয়ে গেছে। গৃহহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কর্মহীন, গৃহহীন এ সকল পরিবারগুলো ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছে। এই ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়াডের ইউডি সদস্য গোলাম রব্বানী জানান তিস্তা নদী হঠাৎ গতিপথ পরিবর্তন করে চরখড়িবাড়ি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত এক হাজার মিটার বালির বাধ টি সর্ম্পুন বিলিন হয়ে গেছে। বাধটি বিলিন হওয়ার সাথে সাথে ৬টি গ্রাম তছনছ করে দিয়েছে তিস্তা।একই এলাকার আরাজুল ইসলাম (৫০) ােভের সাথে বলেন, আমরা এখন রিলিফ চাইনা, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা চাই।এদিকে চরখড়িবাড়ি সীমান্তে রয়েছে বিজিপির ক্যাম্প। এই ক্যাম্পটিও তিস্তার ভাঙ্গনের হুমকীর মুখে পড়েছে। ৭ বিজিবি পক্ষে ওই বিওপি ক্যাম্প থেকে মুল্যবান সম্পদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানায় এলাকাবাসী ত্রান চায়না তারা গ্রাম রক্ষার জন্য চায় প্রতিরক্ষা বাঁধ। এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন , ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, ইউএনও রেজাউল করিম। এলাকায় ১২ মেট্রিক টন চাল ও ৪০ হাজার টাকা বিতরন করা হয়েছে।এদিকে ডিমলা উপজেলা ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের পূর্বছাতুনামা ফরেষ্টের চরের ৭শত পরিবারের ঘরবাড়ির ভেতর দিয়ে নদীর পানি বয়ে যাচ্ছে বলে নববর্ািচিত ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান। তিনি বলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা ফসলের উপর নির্ভরশীল। চলতি আমনে তারা ৩০ মন ধানের বীজতলা তৈরী করেছিল। যা বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করতো তারা। সে সব আমনের বীজতলা সম্পূর্ন বিনস্ট হয়ে গেছে। অপর দিকে তিস্তার বন্যা ও ভাঙ্গনের শিকার হাজার হাজার পরিবার এখন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে খোলা আকাশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান এ পর্যন্ত দুই দফায় গত ২৩ জুন বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ও ২৫ জুন বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হলে ৫০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এখন তিস্তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার যে কোন সময় উজানের ঢল নেমে এলে তিস্তা ফের গর্জে উঠবে।