আগামী তিন মাসের মধ্যে চিলাহাটি -হলদীবাড়ি রেলপথ জোড়া লাগবে
https://www.obolokon24.com/2016/06/chilahati-holdibari.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ॥ আগামী তিন মাসের মধ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের জলপাইগুড়ির হলদীবাড়ি রেলপথ পুনঃস্থানের মাধ্যমে জোড়া লাগতে যাচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে প্রায় ৭ কিলোমিটার ও ভারতের হলদীবাড়ি অংশে ৪ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনরায় স্থাপন করা হবে। এমন আভাস পাওয়া গেছে দুই দেশের পক্ষ হতে। চলতি বছরের ৮ মে থেকে সপ্তাহ ব্যাপী বাংলাদেশের অংশের জরিপ কাজ শেষ করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে ভারতের অংশে জরিপ শেষে উভয় দেশের রেললাইন স্থাপন করে জোড়া লাগানো হবে বলে রেলসুত্র নিশ্চিত করে।
রেলওয়ে সুত্র মতে বর্তমানে খুলনার মংলা, ঢাকা ও রাজশাহী থেকে সরাসরি ব্রডগেজের রেলপথ চালু রয়েছে নীলফামারী চিলাহাটি সীমান্তের স্টেশন পর্যন্ত। উভয় দেশের অংশের ১১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেললাইন পুনরায় স্থাপন করা হলে ভারতের হলদীবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি সাথে ফের সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
সুত্র মতে রেলপথ স্থাপন শেষ হলে প্রথম ধাপে চলাচল করবে পন্যবাহী রেল। দ্বিতীয় ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন। যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে ঢাকা হতে নিউ জলপাইগুড়ি(শিলিগুড়ি) ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্ত হয়ে কলকাতা শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে।
চিলাহাটির প্রবীন ব্যাক্তি ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক বসুনিয়া জানায় ভারত বাংলাদেশের সে সময় শেষবার ট্রেনের বাঁশি শোনা গিয়েছিল ১৯৬৫ সালে। সেই থেকে রেলের চাকা হলদিবাড়ির থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আর বাংলাদেশের চিলাহাটিতে ঢোকেনি। অথচ, এই রেল পরিষেবা শুরুর দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ সরকার। আগামী তিন মাসের মধ্যে উভয় দেশের রেলপথ পুনরায় স্থাপনের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে এপার ওপার ট্রেন যাত্রা সুচনা করা হবে।
চিলাহাটি হলদীবাড়ি রেলপথ স্থাপনে প্রস্তাবনা রয়েছে হলদীবাড়ির সঙ্গে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলপথে জুড়ে দেওয়া হবে। প্রথমে পণ্যবাহী, পরবর্তীতে যাত্রীবাড়ী ট্রেন চালানো হবে।
অতীতে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে এবং স্বাধীনতার পরেও বেশ কয়েক বছর এই পথে রেল চলাচল করেছে। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ছিল এই পথেই। দার্জিলিং মেলও এই পথেই চলত। পণ্যবাহী ট্রেনও চলত।
এখন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে কলকাতা-গেদে-দর্শনা-হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে ঢাকা।
হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল পথ চালু হলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে ফের অতীতের পথে শিলিগুড়ি-কলকাতা রেল চলাচল শুরু হবে। সেই সাথে ঢাকা নিউজপাইগুড়ি(শিলিগুড়ি) ট্রেন চলাচল করবে সরাসরি।
ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সুত্র মতে রেল বোর্ড ও পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় চূড়ান্ত নির্দেশ পাওয়ার পরে মাস তিনেকের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে। এদিকে বাংলাদেশের রেলের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম বলেন প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশের চিলাহাটি অংশের জরিপ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশের দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি অসম বেঙ্গল রেলওয়ের উদ্যোগে ১৮৭০ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। ওই সময় ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও সৈয়দপুর এবং দর্শনা দিয়ে দাজিলিং মেইল ট্রেনটি কলকাতা চলাচল করতো। এ ছাড়া চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করতো একটি পাসপোর্ট ট্রেন। চালু ছিল স্থলবন্দর ও চেকপোস্ট। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ ও স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর উভয় দেশ স্থাপিত রেলপথটি ১৯৬৫ সালে উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে উভয় দেশের রেললাইন না থাকলেও রয়েছে রেলপথের অবকাঠামো।
রেলওয়ে সুত্র মতে বর্তমানে খুলনার মংলা, ঢাকা ও রাজশাহী থেকে সরাসরি ব্রডগেজের রেলপথ চালু রয়েছে নীলফামারী চিলাহাটি সীমান্তের স্টেশন পর্যন্ত। উভয় দেশের অংশের ১১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেললাইন পুনরায় স্থাপন করা হলে ভারতের হলদীবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি সাথে ফের সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
সুত্র মতে রেলপথ স্থাপন শেষ হলে প্রথম ধাপে চলাচল করবে পন্যবাহী রেল। দ্বিতীয় ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন। যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে ঢাকা হতে নিউ জলপাইগুড়ি(শিলিগুড়ি) ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্ত হয়ে কলকাতা শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে।
চিলাহাটির প্রবীন ব্যাক্তি ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক বসুনিয়া জানায় ভারত বাংলাদেশের সে সময় শেষবার ট্রেনের বাঁশি শোনা গিয়েছিল ১৯৬৫ সালে। সেই থেকে রেলের চাকা হলদিবাড়ির থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আর বাংলাদেশের চিলাহাটিতে ঢোকেনি। অথচ, এই রেল পরিষেবা শুরুর দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ সরকার। আগামী তিন মাসের মধ্যে উভয় দেশের রেলপথ পুনরায় স্থাপনের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে এপার ওপার ট্রেন যাত্রা সুচনা করা হবে।
চিলাহাটি হলদীবাড়ি রেলপথ স্থাপনে প্রস্তাবনা রয়েছে হলদীবাড়ির সঙ্গে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলপথে জুড়ে দেওয়া হবে। প্রথমে পণ্যবাহী, পরবর্তীতে যাত্রীবাড়ী ট্রেন চালানো হবে।
অতীতে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে এবং স্বাধীনতার পরেও বেশ কয়েক বছর এই পথে রেল চলাচল করেছে। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ছিল এই পথেই। দার্জিলিং মেলও এই পথেই চলত। পণ্যবাহী ট্রেনও চলত।
এখন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে কলকাতা-গেদে-দর্শনা-হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে ঢাকা।
হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল পথ চালু হলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে ফের অতীতের পথে শিলিগুড়ি-কলকাতা রেল চলাচল শুরু হবে। সেই সাথে ঢাকা নিউজপাইগুড়ি(শিলিগুড়ি) ট্রেন চলাচল করবে সরাসরি।
ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সুত্র মতে রেল বোর্ড ও পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় চূড়ান্ত নির্দেশ পাওয়ার পরে মাস তিনেকের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে। এদিকে বাংলাদেশের রেলের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম বলেন প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশের চিলাহাটি অংশের জরিপ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশের দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি অসম বেঙ্গল রেলওয়ের উদ্যোগে ১৮৭০ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। ওই সময় ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও সৈয়দপুর এবং দর্শনা দিয়ে দাজিলিং মেইল ট্রেনটি কলকাতা চলাচল করতো। এ ছাড়া চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করতো একটি পাসপোর্ট ট্রেন। চালু ছিল স্থলবন্দর ও চেকপোস্ট। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ ও স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর উভয় দেশ স্থাপিত রেলপথটি ১৯৬৫ সালে উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে উভয় দেশের রেললাইন না থাকলেও রয়েছে রেলপথের অবকাঠামো।