সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত
https://www.obolokon24.com/2016/04/saidpur_12.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী, ১২ এপ্রিল॥
সৈয়দপুরে স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয়েছে মঙ্গলবার। একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে ১২ এপ্রিল সৈয়দপুরে পাকী সেনা ও তাদের দোসরদের হাতে শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ সৈয়দপুর জেলা শাখা এবং স্মরনিকা পরিষদের উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। স্বাধীনসংগ্রামের এই দিনে (১২ এপ্রিল) নীলফামারীর অবাঙালী অধ্যুষিত সৈয়দপুরের তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ডা. জিকরুল হক, তুলসীরাম আগরওয়ালা, ডা. সামছুল হক, ডা. বদিউজ্জামান, ডা. ইয়াকুব আলী, রেলওয়ে কর্মকর্তা আয়েজ উদ্দিন, যমুনা প্রসাদ কেডিয়া, রামেশ্বরলাল আগরওয়ালা, নারায়ণ প্রসাদ প্রমুখকে ধরে চোখ বেঁধে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়।এ ছাড়া শহরের ৪৭৮ জন মাড়োয়ারি পরিবারের সদস্যকে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার নামে ট্রেনে তোলা হয়। রেলওয়ে কারখানার উত্তর প্রান্তে সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাঁদের সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়। শিশুদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
দিনটি পালনে শহরের বাসা-বাড়ি,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ সকল ভবন শীর্ষে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ স্মৃতি অম্লানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা, মিলাদ- মাহফিল, দোয়া ও পথ সভা।
সকাল ৮টায় শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা হয়। পরে কালো ব্যাজ ধারন করে একটি শোক র্যালি বের হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে শহীদ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক, সুধীজনসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাওয়াদুল হক সরকার। এরপর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ এর সৈয়দপুর শাখা, স্মরনিকা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতি অম্লানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সন্তান সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. বখতীয়ার কবির, অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন, ডা. মো. খায়রুল বাশার মানিক, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু,সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদল, রফিকুল ইসলাম বাবু , জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাবেয়া আলীম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একরামুল হক, সিপিবি’র উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী নুরুজ্জামান জোয়ারদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটন, আইটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোশাররফ রেজা,শিক্ষার্থী নকিবুল ইসলাম নকিব,আব্দুর রহমান ও সাগুফতা পারভীন প্রমূখ।
এর আগে পথসভার শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।এদিকে, দিবসটি পালনে স্মরনিকা পরিষদও শহীদ স্মৃতি অম্লানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শোক র্যালী, আলোচনা ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করে। শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের এম এল ভবনে শহীদ দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মরনিকা পরিষদের সভাপতি সুমিত কুমার আগওয়ালা।বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী সরকারসহ অন্যান্যরা।
সৈয়দপুরে স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয়েছে মঙ্গলবার। একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে ১২ এপ্রিল সৈয়দপুরে পাকী সেনা ও তাদের দোসরদের হাতে শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ সৈয়দপুর জেলা শাখা এবং স্মরনিকা পরিষদের উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। স্বাধীনসংগ্রামের এই দিনে (১২ এপ্রিল) নীলফামারীর অবাঙালী অধ্যুষিত সৈয়দপুরের তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ডা. জিকরুল হক, তুলসীরাম আগরওয়ালা, ডা. সামছুল হক, ডা. বদিউজ্জামান, ডা. ইয়াকুব আলী, রেলওয়ে কর্মকর্তা আয়েজ উদ্দিন, যমুনা প্রসাদ কেডিয়া, রামেশ্বরলাল আগরওয়ালা, নারায়ণ প্রসাদ প্রমুখকে ধরে চোখ বেঁধে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়।এ ছাড়া শহরের ৪৭৮ জন মাড়োয়ারি পরিবারের সদস্যকে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার নামে ট্রেনে তোলা হয়। রেলওয়ে কারখানার উত্তর প্রান্তে সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাঁদের সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়। শিশুদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
দিনটি পালনে শহরের বাসা-বাড়ি,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ সকল ভবন শীর্ষে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ স্মৃতি অম্লানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা, মিলাদ- মাহফিল, দোয়া ও পথ সভা।
সকাল ৮টায় শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা হয়। পরে কালো ব্যাজ ধারন করে একটি শোক র্যালি বের হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে শহীদ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক, সুধীজনসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাওয়াদুল হক সরকার। এরপর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ এর সৈয়দপুর শাখা, স্মরনিকা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতি অম্লানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সন্তান সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. বখতীয়ার কবির, অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন, ডা. মো. খায়রুল বাশার মানিক, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু,সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদল, রফিকুল ইসলাম বাবু , জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাবেয়া আলীম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একরামুল হক, সিপিবি’র উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী নুরুজ্জামান জোয়ারদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটন, আইটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোশাররফ রেজা,শিক্ষার্থী নকিবুল ইসলাম নকিব,আব্দুর রহমান ও সাগুফতা পারভীন প্রমূখ।
এর আগে পথসভার শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।এদিকে, দিবসটি পালনে স্মরনিকা পরিষদও শহীদ স্মৃতি অম্লানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শোক র্যালী, আলোচনা ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করে। শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের এম এল ভবনে শহীদ দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মরনিকা পরিষদের সভাপতি সুমিত কুমার আগওয়ালা।বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী সরকারসহ অন্যান্যরা।