ডোমারে উপসহঃপ্রকৌশলী’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

ডোমার আবাসিক সহঃপ্রকৌশলী সাইদীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও গ্রাহক ভোগান্তির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করা তার দ্বায়িত্ব  হলেও সাধারণ গ্রাহককে সমস্যায় ফেলে কিভাবে  নিজের পকেট ভারী হয় সেই উপায় খুঁজতেই তিনি সর্বদা ব্যাস্ত থাকে বলে জানাগেছে। এবিষয়ে কেহ প্রতিবাদ করলে তাকে বিদ্যুতের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানী  করা হচ্ছে বলে একাধিক ভূক্তভোগী জানিয়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, ডোমার নির্বাহী  প্রকৌশলী দপ্তরের উপসহঃপ্রকৌশলী সারোয়ার জাহান  সাইদী ডোমার কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রতিনিয়ত এলাকার সাধারণ গ্রহকদের নানা কৌশলে হয়রানী অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের অধীন ডিমলা উপজেলার বাজার এলাকার পরেষ চন্দ্র জানান, আমার আইসক্রিম কারখানার সংযোগ থেকে আমার নিজের ব্যবহৃত একটি অটো বাইকের ব্যাটারী চার্জ দেয়ার সময় রাত আনুমানিক ২ঘটিকায় ডোমার নির্বাহী  প্রকৌশলী দপ্তরের উপসহঃপ্রকৌশলী সারোয়ার জাহান  সাইদী কারখানায় এসে আমার মিটিারটি কেটে নিয়ে যায় এবং অফিসে  তার সাথে দেখা করতে বলে । আমি তার সাথে দেখা করলে সে আমাকে জানায় মিলের মিটারে অটো চার্জ দেয়া বেআইনী। তাই আমার কাছে উৎকোচ বাবদ ২০হাজার টাকা দাবী করে নইলে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিবে মর্মে হুমকী দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে তাকে ২০হাজার টাকা দিলে সে পূর্বের মিটারটি আবার লাগিয়ে দেয়।  কিন্তু সংযোগটি এমন ভাবে লাগিয়েছে তাতে যে কোন সময় আমার বিরুদ্ধে বাইপাস সংযোগ নেয়ার অভিযোগে হতে পারে।  অপর গ্রাহক বাবুর হাট এলাকার সেচ পাম্প গ্রাহক মতিয়ার রহমান যাহার হিসাব নং-ই৪৩/০৭এসি ১৩৯০৩/বি প্রতিনিধিকে জানান,আমার ও আমার পাশের আব্দুর রহমানের সেচ পাম্পের ২টি ভালো মিটার ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের ছোট আর ই সারোয়ার জাহান  সাইদী রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ হাজার টাকার সংযোগের তার সহ কেটে নিয়ে যায়। আমি তার সাথে যোগাযোগ করে তার কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে জানায় আমার ১ফেজ মিটার আছে  যা সেচ  পাম্পের জন্য অবৈধ। আমাকে তিন ফেজ মিটারের সংযোগ নিতে হবে। সে আমাকে তার অফিসে যোগাযোগ করতে বলে আমি তার সাথে যোগাযোগ করলে সে আমার মিটার ও বিভিন্ন খরচ বাবদ ১৪হাজার টাকা নিয়ে একটি ৩ফেজ মিটার লাগিয়ে দেয়। অথচ আমার পাশের মিটারটি নিয়ে গেলেও তার সংযোগ এখনো ১ফেজ মিটার দিয়েই চলছে। আমি ঐ রাতে গোয়াল ঘড় থেকে ছাগল বিক্রি করে তাকে টাকা দেই। নইলে আমার বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেয়। শুধু তই নয়। উপজেলার আমবাড়ী এলাকার শফিকুল ইসলাম  যাহার হিসাব নং- ই৪১/২৯ এসি -৩৯২০/বি জানান, ডোমার নির্বাহী  প্রকৌশলী দপ্তরের উপসহঃপ্রকৌশলী সারোয়ার জাহান  সাইদী হটাৎ রাতের আধারে আমার  সেচ পাম্পের সংযোগ মিটার সহ কেটে নিয়ে যায় এবং আমাকে অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। আমি তার সাথে অফিসে দেখা করলে সে আমার বিরুদ্ধে বিনা মিটারে সংযোগ নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ করে আমার নিকট থেকে ৬০হাজার টাকা দাবী করে । টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে ১লক্ষ টাকার মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। মিটারটি আমার ৭০ উর্দ্ধ পিতার নামে থাকায় আমি বাধ্য হয়ে তাকে ৩০হাজার টাকা দিয়ে রফা করি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে  একাধিক গ্রাহক প্রতিবেদকে জানান উপসহঃপ্রকৌশলী সারোয়ার জাহান  অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চুরি সহ অনিয়ম ধরা পড়লে তিনি তা গোপনে টাকা বিনিময়ে আপোষ রফা করছেন। সকল অভিযোগের বিষয়ে উপসহঃপ্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সাইদী’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে  তিনি বলেন, ভালো কাজ করলে মন্দ লোকেরা কিছু বলবে। আমার ঘুষ নেয়ার প্রমান কেউ দিতে পারলে চাকুরী ছেড়ে দিব । এলাকাবাসী তার সকল অনিয়মের তদন্ত করে শাস্তি ও প্রত্যাহার দাবী করেছে। উল্লেখ্য ডোমার বিদ্যূৎ অফিসের অধীনে আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ১৪হাজার, সেচপাম্প ২হাজার ৭শ,বাণিজ্যিক ২হাজার ৫শ প্রায়,ক্ষুদ্র শিল্প ৩শত প্রায়,ধর্মীয় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ২শত রয়েছে বলে জানাগেছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5564566582322475235

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item