অব্যাহত লোডশেডিং এ দিশেহারা ডোমার উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা
https://www.obolokon24.com/2016/04/domar_12.html
আনিছুর রহমান মানিক ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি:
প্রচন্ড তাপদহে অব্যহত লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রাহকরা। গরমের প্রখরতা প্রাকৃতিক হলেও দিনে রাতে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ চরম বিরক্ত,ক্ষুব্ধ ও অতিষ্ট।বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে বিঘিœত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম, এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া।ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা। গত ১১এপ্রিল সন্ধ্রায় উপজেলার চিলাহাটীতে শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগন মোমবাতি জ¦ালিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভও করেছে। গত ৩ দিনে ৭২ ঘণ্টায় খুব বেশি হলে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল বাকি সব সময় বিদ্যুৎ ছিলনা। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ে প্রচন্ড ভোগান্তীতে পরেছে এইচ,এস,সি/সমমানের পরীক্ষার্থীরা । মাগরিবের আযানের আগেই চলে যায় বিদ্যুৎ। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় মুসল্লীদের নামাজ পরতে কষ্ট হলেও সেদিকে চোখ নেই বিদ্যুৎ বিভাগের । দিনে কম করে ৫ থেকে ৬ বার লোডশেডিং দেওয়া হয় । বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ে বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে । ফলে দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষক। রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না । সেচ দিতে না পেরে কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে । বিদ্যুতের এমন বেহাল দশায় সাধারন মানুষসহ ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে। বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি কমে গেছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন ।গোমনাতীর আমিন নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, রাতে বা গভীর রাতে লোডশেডিং কেন হয় এটা বুঝিনা। এতে করে ঘরের ছোট শিশুরা পর্যন্ত প্রচন্ড কান্নাকাটি করে উঠে। মোটকথা একেবারে অসহ্যকর অবস্থা। বিদ্যুতের এমন সমস্যার কারন জানতে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায় না ।বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করলে সব সময় ব্যস্ত পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যে ধরলে উল্টো ফোনে হাসাহাসি করে। মনে হয় যেন তামাশা করছে।সরকারী নম্বর ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ সময়েই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় । প্রতিদিন সকাল, দুপুর, সন্ধা ও রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পরতে হচ্ছে ডোমার ও ডিমলাবাসীকে। বিদ্যুৎ অফিসের অনেক কর্মচারী নাম না জানার শর্তে বলেছেন এ আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ আনতে পারে না । তিনি অযোগ্য ,সময়মত চাহিদা পত্র দেয়না । তাই বিদ্যুতের এমন অবস্থা । এইচ,এস,সি পরীক্ষা চলমান থাকা অবস্থায় ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে পরতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে বোরো আবাদের জন্য জমিতে সেচ দেওয়ার এটাই মোক্ষম সময় হলেও বিদ্যুতের অভাবে কৃষকরা জমিতে পানি দিতে না পারায় মরে যাচ্ছে ধান গাছের চারা। ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে ক্ষেত। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে ডোমার বিদ্যুত বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে অফিসে না থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি ।