নীলফামারীতে বাল্য বিয়ের চেস্টা॥ কনের বাবা সহ ১০ জনের সাজা
https://www.obolokon24.com/2016/03/nilphamari_85.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৬ মার্চ॥
নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সোয়াদেব বড়গাছা গাইবান্ধাপাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী তানজিনা খাতুনকে জোড়পূর্বক বাল্য বিয়ের চেষ্টার অভিযোগে আটক হয়েছে কনের বাবা সহ ১০ ব্যাক্তি। আজ শনিবার দুপুরে আটককৃত বিভিন্ন মেয়াদে বিনাসশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নীলফামারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ রোল মডেল সাবেত আলী। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে কনের বাবা তোরাব আলীকে ২৫ দিন, কনের আতœীয় ময়নুল ইসলাম(২৮),আবু সায়িদ(৪৩),মনোয়ার হোসেন(২৫) সহ তিনজনকে ২০দিন করে ও বরের আতœীয় ও বরযাত্রীদের মধ্যে দবিরউদ্দিন(৩৫),অমর ফারুক(৩৫),আব্দুররহিম(২৫),আবু বক্কর সিদ্দিক(৪৫),আব্দুল আলিম(২৮) ও সিরাজুল ইসলামের(৩০) সহ ৬ জনকে ১৫ দিন করে বিনাসশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।সাজা প্রদানের পর তাদের জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা।
অভিযোগ মতে ওই অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে জোড়পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছিল জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দরখাতা গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন ওরফে মালগাড়ীর ছেলে সাইফুল ইসলামে(২২) সাথে। এ জন্য শুক্রবার রাত ১টায় ডিমলা থেকে বরযাত্রী আসে কনের বাড়িতে। গোপনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাবেত আলী,থানার ওসি শাহজাহান পাশা। সেখানে তারা বাল্য বিয়েটি প্রতিহত করে উক্ত ব্যাক্তিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।