লালমনিরহাটে ব্যাঙ্গের ছাতার ন্যায় গড়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার
https://www.obolokon24.com/2016/03/lalmonirhat_9.html
সুমন ইসলাম বাবু , লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলো সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই চলছে। সার্টিফিকেট ধারী কোন টেকনোলজিস্ট না থাকার পর রোগীদের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দিচ্ছে কিনিকের কর্মচারীরা। কিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক মালিকেরা পিসি ডাক্তারদের রোগী প্রতি মোটা অংকের কমিশন দিয়ে থাকে। লালমনিরহাট জেলার ১৬ লাখ মানুষের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের কারণে সাধারণ রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেলার কতিপয় কিনিক ও ডায়াগনোস্টিক মালিকেরা ডাক্তাদের মাসোয়ারা দিয়ে থাকে যেন রোগীদের তাদের কিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেয়।
লালমনিরহাটে ১৫/১৬টি কিনিক ও ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারও ডেন্টাল চেম্বার গুলো ব্যাঙ্গের ছাতার ন্যায় গড়ে ওঠা কিনিকে রোগীরা প্রতারনার শিকার হচ্ছে। চলছে প্যাথলজি পরীক্ষা ও নিরীক্ষার জমজমাট ব্যবসা। ডিগ্রীধারী কোন টেকনোলজিস্ট না থাকলেও ভুয়া সাটির্ফিকেটে এ সমস্ত ডায়াগনোস্টিক কেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ের মনগড়া রির্পোট দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে মোটা অংকের কমিশন দেয়ায় ডাক্তাররা এ সমন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রেসক্রিপশন লেখার তোয়াক্কা করে না। এনালগ সিস্টেমের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করে থাকলেও ইদানিং ডিজিটাল পদ্ধতির যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় যে রিপোর্ট দিয়ে থাকে তার চার্জ এনালগের তিনগুন বেশি নিয়ে থাকে। রোগীদের কাছে জানা যায় এনালগের চার্জ যেখানে ৩শ টাকা সেখানে ডিজিটাল যন্ত্রপাতিতে পরীক্ষার চার্জ ৯শ টাকা নিয়ে থাকে। রোগ নির্ণয়ের রির্পোট লেখার সরকারী কোন চার্জ নেয়ার কোন নীতিমালা নেই বলে কিনিক মালিকেরা জানান।
বিশেষ করে বগুড়া কিনিকে কোন সরকারী সার্টিফিকেট ধারী টেকনোলজিস্ট না থাকলেও কিছু ভুয়া নাম ব্যবহার করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানের মালিক, একজন সাধারন লোক একজন নার্সকে বিয়ে করে
বগুড়া থেকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের পুর্ব পার্শে কিনিকের জন্য একটি দ্বিতল ভবন ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে মিলন নিজের ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে সাধারণ রাগী দেখা শুরু করেছেন। ডাঃ মোঃ নাজমুস সাকিব চৌধুরী ভিজিডিং কার্ড ব্যবহার করে শাহান শপিং কপ্লেক্সের ৩য় তলা ভবনে বগুড়া কনসালটেন্টে চেম্বার বানিয়ে রোগী দেখে থাকে।
এর মধ্যে গড়ে উঠেছে, বগুরা কিনিক, নিরাময় কিনিক, যমুনা, নিউ বৈশাখী, ইসলাম প্যাথলজি, সিটি, মরিয়ম. মর্ডান, শাপলা, সেন্ট্রাল, রাফি ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টার, মনোয়ারা, ম্যাটিন, বন্ধন, মেরি স্টপ, সুর্যের হাসি, উত্তরা ডায়াগনোস্টিক, কেয়ার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, লামিয়া ডায়াগনোস্টিক, ক্রিসেন্ট ডায়াগনোস্টিক এন্ড ইমেজিং সেন্টার, বৈশাখী কিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,সান ডায়াগসিস্ট সেন্টার, সরকারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে কিন্তু ডাক্তার নিয়মিত না আসায় সাধারণ রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মচারীদের বিভিন্ন ক্লিনিকের দালালি করে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। লালমনিরহাটের ভুইফোর কিনিং গুলোতে রুগীদের বেশীর ভাগ অপারেশন করেন সরকারী হাসপাতালের মেডিশিন বিভাগের কর্মরত ডাক্তারগন। তারা সরকারী ডিউটি সময় কোন মতে পার করেই তারা বিভিন্ন কিনিকে ছুটে যান। গভির রাত পর্যন্ত চলে অপারেশন। এক্ষেত্রে ডাক্তরদের সার্বক্ষনিক মনোযোগ কিনিক মুখি থাকে। মাঝে মধ্যে রংপুর থেকে অপারেশনের জন্য ডাক্তার আসে। এতেও চার্জ বেশী নেয়া হয়। সিভিল প্রশাসন মাঝে মধ্যে কিনিক গুলোতে মেজিস্ট্রেড দিয়ে ভ্রাম্যমান অপারেশন করওে তারা পরিস্কার পরিছন্নতার বিষয় যন্ত্রপাতির বিষয় খোজ ভবর দিয়ে জরিমানা করে থাকে।
কিনিক গুলো যতটা চিকিৎসার দিকে লক্ষ রাখে তার চেয়ে বেশী নজর থাকে টাকার দিকে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ সরকারী হাসাপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সুবিধা না পেয়ে কিনিক গুলেতে দালালদের মাধ্যমে ভর্তি হয়ে সুস্থ্য না হয়ে টাকা অচপয় করে বাড়ী ফিরলেও কিনিক মালিকদের লাভের অংশ বেশী ছাড়া কম থাকে না।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম মোস্তফা কামাল চৌধুরী কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এ অনিয়মগুলোর ব্যবারে একটি কমিটি করে অভিযোগ গুলো তদন্ত করা শুরু হবে।