অশ্র“সিক্ত নয়নে চিলাহাটি দিয়ে ভারত গেল ১৪৭ জন
https://www.obolokon24.com/2015/11/sit-mohol59.html
ইনজামাম-উলহক নির্ণয় চিলাহাটি সীমান্ত থেকে॥
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি -হলদিবাড়ি অভিবাসনের ৭৮২ সীমান্তের প্রধান পিলার দিয়ে বাবা মায়ের সাথে আড়াই মাসের ভারত নামের এক নবজাতক সহ ২৮ পরিবারের ১৪৭ জন সদস্য ভারত গমন করেছে। সোমবার বেলা পনে তিনটায় এরা ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে। এদের মধ্যে ৭১জন পুরুষ এবং ৭৬ জন নারী ও শিশু ছিল। এরা সকলেই পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার কোটভাজনী ও বালাপাড়া খাগড়াবাড়ির বিলুপ্ত ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দা ছিল। এ সময় তাদের আতœীয়-স্বজনসহ পরিচিত জনদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তারা সকলেই কান্না ভেঙ্গে পড়েছিল। এই পথে গতকাল রবিবার পঞ্চগড় থেকে প্রথম দফায় ৪৮ জন সদস্য ভারত গমনের করেছিল। আজ মঙ্গলবার একই পথে পঞ্চগড়ের তৃতীয় দলের ২৯ পরিবারের ১৪৮ জন সদস্যের ভারত গমনের কথা রয়েছে।
পঞ্চগড় ও নীলফামারী নাগরিক অধিকার সম্বন্ময় কমিটির সভাপতি মফিজার রহমান জানান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সকল প্রকার সার্বিক ভাবে ভারত গমনকৃতদের সহযোগীতা করছেন। এদের পঞ্চগড় জেলা দেবীগঞ্জ উপজেলার গজঘাঁটি নামক স্থান থেকে চারটি বাসে এবং ৭টি ট্রাকে মালপত্র সহ তাদের চিলাহাটি নিয়ে আসা হয়। সকাল ১১টা থেকে এখানকার আব্দুল রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পে তাদের দুটি বুথের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করা হয়। পঞ্চগড়ের এই দ্বিতীয় দলটি ভারতের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরের সময় ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম, কাষ্টমস ইমিগ্রেশনের সহকারি কমিশনার হুমায়ুন হাফিজ, রাজস্ব কর্মকর্তা আহসান হাবিব,সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম, ৫৬ বিজিবির পক্ষে সুবেদার আব্দুল ওহাব,ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের,ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনছুর আলী প্রমুখ।অপর দিকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কুচবিহারের জেলা শাসকের এডিএম আয়শা রানী,, ঢাকাস্থ্য ভারতীয় হাই কমিশনের ফাষ্ট সেক্রেটারী রমাকান্ত গুপ্তা ,বিএসএফের ৫৮ ব্যাটালিয়ানের ডিপুটি কমান্ডার একে ঝা, কাষ্টম সুপার সন্দীপ ব্যান্যার্জী প্রমুখ।