রংপুরে নগরীর ইসলামবাগ আর কে রোডে ছিনতাইকারীর দৌরাতœ ঃ আতংকে পথচারীসহ সাধারন মানুষ
https://www.obolokon24.com/2015/11/rangpur_4.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :
রংপুর নগরীর ইসলামবাগ আর কে রোড এলাকায় ছিনতাইকারীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে। ফলে প্রশাসনের চোখঁকে ফাকি দিয়ে একের পর এক চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন পথচারীসহ সাধারন মানুষ।চিহ্নিত এসব ছিনতাইকরীদের হাত থেকে রক্ষা মিলছেনা স্থানীয়দেরও।
জানা গেছে,গতকাল রাত ৯টার সময় ইসলামবাগ আরকে রোডের বলাকা মোড় নামক স্থানে আম্বুর দোকানের সামনে ৪ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের নুরপুর এলাকার শাবু মিয়া (৩২)।এসময় শাবুর প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা বের করে নেয়এবং শার্টের পকেট থেকে ওয়ালটন কোম্পানির একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখ,ঈদের পর থেকে ওই এলাকায় ১০/১৫টি চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঈদের পরেরদিন রংপুর সেনানিবাসের এক মেজর ভোরে টার্মিনালে বাস থেকে নেমে অটোরিক্সা যোগে ক্যান্টনমেন্ট আসার পথে ইসলামবাগ আর কে রোডের শান্তির মোড় নামক স্থানে একদল ছিনতাইকারীর কবরে পড়েন। সেই মেজরকে ছিনতাইকারীরা উপযুর্পরি ছুরিকাঘাতও করেন। পরে তিনি আহত অবস্থায় ও ভোরের নামাজ পড়তে বের হওয়া মুসুল্লিরা ধাওয়া করে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
অভিযোগ উঠেছে, আর কে রোড এলাকায় আমিনুল ইসলাম আম্বু সহ গুটি কয়েক গডফাদার চুরি, ছিনতাইয়ের মত এসব অপরাধীদের সেল্টার দিচ্ছে।বলাকা মোড়ে নামমাত্র আম্বুর একটি চা,পানের দোকানও রয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত সেই দোকান খোলা রেখে ছিনতাইকারীদের চেইন মাষ্টারের দায়ীত্ব পালন করছেন। পুলিশ কখন ডিউটিতে আসে যায় সেই দোকান থেকে নিরাপদেই জানিয়ে দেওয়া হয়।তাই ছিনতাইকারীরা অনায়াসেই তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আম্বুর নামে দোকান চুরির অভিযোগে রংপুর কোতয়ালী থানায় ১টি মামলাও রয়েছে। যার মামলা নং ৭৩,তাং-২৪/৮/১৫ ইং।
ইসলামবাগ এলাকার নিউ সার্জি হোমে কর্মরত এক কর্মচারী জানান, এই এলাকার ছিনতাই যাওয়া জিনিষ পত্রের মধ্যে বিশেষ করে মোবাইল সেটগুলো আম্বুর দোকান থেকে তার ছেলে রিপনের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রয় করা হয়।
চুরি, ছিনতাইয়ের ব্যাপারে ইসলামবাগ এলাকার বাসিন্দা রুবেল হোসেন জানান, ছিনতাইকারীদের সহায়তাকারী বলাকা মোড়ের আম্বু মিয়া রোডস এন্ড হাইওয়ের অবৈধ জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চা-পানের দোকানের নামে নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে গেলেও সব সময় প্রশাসনের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন। কেউ এসবের প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে শুরু করে দেন নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা।রুবেল আরো বলেন, আমরা এলাকাবাসীর মুরুব্বী ও যুব সমাজকে নিয়ে চুরি ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে বা বন্ধে শিঘ্রই আন্দোলন শুরু করা হবে।
ইসলামবাগ এলাকাবাসী জানান, আর কে রোডে এসব ছিনতাইয়ের ফলে আমাদের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। তাই আমরা আর কে রোডসহ ১৭ নং ওয়ার্ডে ছিনতাই বন্ধে পুলিশ সুপারের জরূরী হস্থক্ষেপ কামনা করছি।