হঠাৎ -আবহাওয়াটা বদলে গেল !
https://www.obolokon24.com/2015/11/nilphamari_6.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৬ নবেম্বর॥
কয়েকদিন ধরে ঝকঝকে রোদের সঙ্গে বইছিল উত্তুরি হাওয়া। শুক্রবার সেখানে মেঘলা আকাশ। সূর্য্যরে উঁকি- কখনো বা মেঘের ভেতর হারিয়ে যাওয়া। গায়ে রিতিমত চাপাতে হয়েছে চাঁদর বা গরম জামা। শুক্রবার দিনভর এমন দৃশ্যপট ছিল হিমালয়বেষ্টিত উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় । বিশেষ করে উত্তরের নীলফামারী সহ আট জেলায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা একদিনে নেমে এসেছে। শহরের তুলনায় গ্রামে একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।সেই সঙ্গে কুয়াশাও পড়ছে। দ্রত পাল্টে যাচ্ছে উত্তরের আবহাওয়া। মাঝে মধ্যেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো এলাকা। আবহাওয়ার এ পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে সর্দি-জ্বর ও কাশির প্রকোপ।বিভিন্নজন বলছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে রাতে শীত করছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশে সূর্য্য না থাকায় শীতের প্রকোপটা দিনেও এবার শুরু হলো। মনে হচ্ছে শীত এসে পড়ছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আবহাওয়া কার্যালয়ের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান কয়েক দিন ধরে রাতে আবহাওয়া সর্বনি¤œ ১৯-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওঠানামা করছে। রাতে কুয়াশাও পড়ছে। তবে শুক্রবার তাপমাত্রা আরো কমেছে। তিনি জানান গত কয়েকদিনে সর্বচ্চো তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে শুক্রবার এটি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ২৬ এসেছে। আর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা এসেছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটা শীতের আগমনী বার্তা।
নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন শীতের আগমনে আবহাওয়া পরিবর্তনে সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে বেশি আসছে। তিনি জানান প্রতিবছরই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সর্দি-জ্বর ও কাশি হয়। এবারও তা-ই হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।