তিস্তা সেচ খালের বাঁধ বিধ্বস্থ্য
https://www.obolokon24.com/2015/11/nilphamari_22.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২২নভেম্বর॥
তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর প্রধান সেচ ক্যানেলের ডানতীর বাঁধের ২০ ফুট বিধ্বস্থ্য হয়েছে। শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সিংদই ও কানিয়ালখাতা নামের দুটি এলাকার প্রায় ৫শতাধিক বিঘা পাকা আমনক্ষেত তলিয়ে দিয়ে বিনষ্ট হয়েছে।এলাকার কৃষকদের অভিযোগ নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোডের গাফলাতির কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা আহাজারী করছে। রবিবার সকাল ৭টায় সরেজমিনে ঘটনাস্থলের গেলে এলাকার কৃষকরা জানায় অনেকে পাকা আমন ধান কেটে শুকানোর জন্য ক্ষেতেই ফেলে রেখেছিল। কেউ বা ধান কাটার প্রস্তুতি নেয়। এ অবস্থায় এ ঘটনায় ঘটনায় সিংদই ও কানিয়ালখাতা মৌজার গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় কৃষকরা ক্ষতিপূরন দাবি করে বলেছে এ ঘটনার খবর দিলে পানি উন্নয়ন বোডের কোন কর্মকর্তা এলাকায় আসেনি।
জানা যায় সেচের জন্য কৃষকদের বর্তমানে পানির প্রয়োজন না থাকলেও হঠাৎ করে পানি উন্নয়ন বোডের পক্ষে ওই প্রধান সেচ ক্যানেলে তিনদিন থেকে পানি ভরে রাখা হয়। একটি সুত্র জানায় ওই ক্যানেল পরিদর্শনে আসার কথা ছিল পানি উন্নয়নের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (এডিজি) বেলায়েত হোসেনের।
কিন্তু পরিদর্শনের আগেই ওই ক্যানেলে চাঁদেরহাট আর-থ্রী ডি জলকপাট থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিনে সিংদই মৌজার পাইলাভাঙ্গা নামক স্থানে শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ৫০ফিট ডানতীর বাঁধ বিধ্বস্থ্য হয়। কৃষকদের অভিযোগ প্রতি বছর ক্যানেলের সংস্কারের লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ এলেও নামমাত্র সংস্কার করে টাকা আতœসাত করা হয়। এতে ক্যানেলের মাটির বাঁধে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত এবং অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধটি বিধ্বস্থ্য হয়। ফলে বিধ্বস্থ্য স্থান দিয়ে ক্যানেলেল পানি হু-হু করে প্রবেশ করে পাকা আমন ধান ক্ষেতে। বিধ্বস্থ্য স্থানদিয়ে পানির সাথে বালি ও পলি জমে প্রায় ১০ হাজার মন ধান বিনষ্ট হয়েছে।
ইটাখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এলাকার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোডের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মাহবুদ শেখ সাংবাদিকদের বলেন বাঁধ বিধ্বস্থ্য হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি বিধ্বস্থ্য বাঁধটি মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।