নীলফামারীতে ভ্যান্টিলেশন সেমিনার
https://www.obolokon24.com/2015/11/nilphamari_19.html
হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা মনে করেন,‘মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিলে যৌতুক কম দিতে হবে। সামাজিক ভাবেও নিরাপদ থাকা যায়।’ আজ (১৯ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এমন কথা জানান হতদরিদ্ররা।
দুঃস্থ্য জনগোষ্টিন ক্ষমতায়নের মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘গণগবেষণা প্রতিবেদন স্থানীয় ভ্যন্টিলেশন নামক ওই সেমিনারের আয়োজন করে রিসার্স ই্উনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিব)।
ওই গণগবেষণায় বলা হয়, হতদরিদ্ররা মনে করেন, মেয়ে ঘরে রেখে নিরাপদে থাকা যায় না। সমাজে এক শ্রেণীর প্রভাবশালীর নজর কাড়ে। বখাটেরা বখাটেপনা করে। এতে মেয়ের বিভিন্ন কুৎসা রটে। ফলে ওই মেয়েকে নিয়ে বিপদে পড়তে হয় তাদের। এ কারণে অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে হওয়াটাই ঝামেলা মুক্ত মনে করেন তারা।
সেমিনারে আরও বলা হয় অসচেতনতা, আজ্ঞতা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব না পাওয়ায় গ্রামের প্রকৃত হতদরিদ্র নারীরা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রায় ৪০ ধরণের সুবিধা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এসব নারী জানেন না সকারের উল্লেখ যোগ্য বয়স্কভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডি, দুঃস্থ্যভাতা, বিধবা ভাতার সেবা কোথা থেকে পাওয়া যায়।
জেলা দরের লক্ষীচাপ ও নীলফামারীর পৌর সভায় এক হাজার ৬৫০ হতদরিদ্রের মাঝে দারিদ্রের কারণ, বাল্য বিবাহ, যৌতুক ও সরকারের দেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির বিভিন্ন সুবিধার প্রাপ্তি বিষয়ে গণগবেষনা চালায় রিব।
ওই গণগবেষণায় বেরিয়ে আসে সরকারের দেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির বিভন্ন সুবিধার বাইরে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দুঃস্থ পরিবার। এর কারণে হিসেবে দেখা গেছে কোথা থেকে এসব সেবা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে তথ্য অজানা, রাজনৈতিক ও নীতিগতভাবে তাদের গুরুত্বহীনতা ও এসব পাওয়ার ব্যাপারে তাদের সচেতনতার অভাব।
রিব সৈয়দপুরের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবতাবুজ্জামান চয়ন, রিব স্টাইভ প্রকল্পের সমন্¦য়কারী প্রতাপ সরকার, মাঠ সমন্বয়কারী বকুল চন্দ্র সূত্রধর, মুন্না দাস প্রমুখ।
হরিজন সম্প্রদায়ের ১০ জনসহ ৭০ জন হতদরিদ্র অংশগ্রহণ করেন ওই সেমিনারে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ।টানে অবগম্যতা বৃদ্ধি, তথ্য অধিকার, বাল্য বিয়ে, হতদরিদ্রদের সরকারী সহযোগীতায় অভিগম্যতার বিষয়ে সংস্থাটি কাজ করছে বলে জানানো হয় সেমিনারে।