৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হবার কোন বিকল্প নাই - ন্যাপ
https://www.obolokon24.com/2015/11/nap.html
আগামীকাল ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন,
“১৯৭৫ সালের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সূচনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। আজ যখন আবারো দেশকে গণতন্ত্রহীন করার ষড়যন্ত্র চলছে তখন সমগ্র জাতিকে ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হবার কোন বিকল্প নাই। আজ এমন এমন এক সময়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করছি যখন নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে বাকশালী সরকার ক্ষমতাসীন। এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় ভিনদেশী হায়েনারা বাংলাদেশের লাল-সবুজের মানচিত্র খুবলে খেতে উদ্যত রয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এ দেশের মানুষ মনে করেন স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নরকম হতে পারতো। এ জন্য যতদিন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ থাকবে, এর ইতিহাসে ৭ নবেম্বর একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে থাকবে। রুশ-ভারতের অক্ষশক্তির চক্রান্তের বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যগণ গর্জে উঠেছিল সেদিন। ৭৫-এর ১৫ আগষ্ট দুঃখজনক ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে অব্যাহত চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে প্রতিরোধ সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল মওলানা ভাসানী যদি সেদিন জিয়াউর রহমানকে সমর্থন না জানাতেন তবে এ সংগ্রাম পথের মধ্যেই নিঃশ্বেস হয়ে যেত।
কর্মসূচী ঃ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আগামী ০৯ নভেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি