কিশোরীগঞ্জে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেনীর দুই ছাত্রী বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল
https://www.obolokon24.com/2015/11/kisorgang_7.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেনীর দুই ছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শুক্রবার রাতে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় । রাতে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালে বর সহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর পিতা ও অপরটির বরের ভাইকে আটক করে জরিমানা আদায় করা হয়। ফলে বাল্য বিয়ে দুটি বন্ধ হয়ে যায়।জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুন্দিপাড়া গ্রামের ফেরদৌস মিয়া তার পঞ্চম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে একই উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাষ্টাপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের অর্নাস পড়–য়া ছেলের মিঠুন রহমানের সাথে বিয়ের আয়োজন করে। শুক্রবার রাত আটটায় বরযাত্রী এলে খবর পেয়ে সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সিদ্দিকুর রহমান সেখানে ছুটে যান। বরযাত্রী পালিয়ে গেলে মেয়ের পিতাকে আটক করা হয়। এ সময় মেয়ের পিতা এই বিয়ে বন্ধের মুচলেকা লিখে দিলে তার দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়।
অপর দিকে একই উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামাতপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী কদবানুর সাথে সদর ইউনিয়নের ছিটবাজিব গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম আজাদের বিয়ে হচ্ছিল। রাত ১০টার দিকে সেখানেও ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালে বরযাত্রী পালিয়ে যায়। এ সময় বরের ভাই শামিমকে (৩৫) আটক করে এক হাজার টাকা জরিমানা করে। সেই সাথে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করা হয়।