ডোমারে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে একটি পরিবার।
https://www.obolokon24.com/2015/10/domar_66.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়ে, অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করার অভিযোগ করেছে একটি পরিবার। অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কুমবাড়ীর ডাঙ্গা গ্রামের মৃত রইস উদ্দিনের পুত্র জাহিনুর রহমান ও রবিউল ইসলাম ২০০৬ সালে দলিল মুলে প্রতিবেশী মৃত কেদার মামুদের পুত্র আহিলার কাছ থেকে ১একর জমি খরিদ করে দির্ঘদিন যাবত হলুদ, আদা, মরিচ, আলু চাষ সহ নিম, মেহগুনি, ইউকিপটার গাছ ও বাঁশ রোপন করে ভোগদখল করে আসছে। গত ৩০সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ওই জমির অংশীদার দাবী করে মমিনুর, সিপন, বাবু, মিলন সহ একদল সন্ত্রাসী জমির উপরে অনাধিকার প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক জাহিনুরের রোপন কৃত ২শতাধিক নিম, মেহগুনি, ইউকিপটার গাছ সহ বাঁশ কেঁটে নিয়ে যায় এবং হলুদ ক্ষেত বিনষ্ট করে। জাহিনুর ও তার স্ত্রী মারুফা সহ পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করে। এবিষয়ে জাহিনুর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে সালিশের নামে বৈঠক বসায় সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সরকার। ইউপি সদস্য তৈয়বুর রহমান বাবু ও এ্যাডভোকেট সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ কাগজপত্র দেখে জাহিনুরের পক্ষে রায় দেয় তারা। বিবাদিগণ আবারো সময় চেয়ে বৈঠক স্থগিত রাখে। এরই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ৫দিনের মাথায় সন্ত্রাসীরা কর্তনকৃত গাছের মুড়াগুলী উপড়িয়ে ফেলে নিশ্চিহৃ করার চেষ্টা চালায়। আবারো চেয়ারম্যানকে খবর দিলে তা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও বার বার চেয়রম্যানের কাছে ধর্নাদিয়ে কোনপ্রকার বিচারের আশ্বাস না পেয়ে অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছে।এ বিষয়ে বাদি জাহিনুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিবাদীপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে সরকারী দলের নেতাদের ম্যানেজ করে এবং বিবাদী পক্ষ ফজলু চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট আত্বীয় হওয়ায় বিচার শালিশটি করতে তালবাহানা করছে।বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীনচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ভ’ক্তভ’গীদের। এবিষয়ে চেয়ারম্যান ফজলুল করিম জানান, ব্যাস্ততার করণে বসা হচ্ছে না, তবে পুজার পরে অভিজ্ঞ ব্যাক্তি দ্বারা কাগজ পত্র দেখে সমাধানের চেষ্টা করবো। বাদীপক্ষ আরো বলেন, চেয়াম্যানের কাছে ন্যায্য বিচার না পেলে কোথায় যাবো। বিষয়টি আশুসমাধানের জোর দাবী জানান ভূক্তভোগী পরিবারের লোকেরা।