অবলুপ্ত ছিটমহলবাসীর সাথে থাকবে সমস্ত ব্যাংকিং পরিবার-বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান
https://www.obolokon24.com/2015/10/Bangladesh-bank.html
অবলোকন ডেক্সঃ-
সমস্ত ব্যাংকিং পরিবার অবলুপ্ত ছিটমহলবাসীর সঙ্গে থাকবে বলে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। রবিবার দুপুর পৌনে ১টায় দেবীগঞ্জে অধুনালুপ্ত ১ নং দহলা খাগড়াবাড়ি এন.বি.এল হাজি লুৎফর রহমান উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আর্থিক অন্তর্ভুক্ত ও সিএসআর কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তাব্যে তিনি এ কথা বলেন।গভর্নর বলেন, পৃথিবীতে অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো আর কোন ব্যাংক নেই। যে ব্যাংক মানবিক ব্যাংকের কাজ করে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে এগিয়ে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশ এগিয়ে চলছে। এ স্থিতিশীলতা দীর্ঘদিন বজায় থাকবে বলে তিনি মনে করেন। ইতোমধ্যে আড়ইশ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ভাবে কাজ করছে সরকার। স্বল্প সুদে ঋণ, প্রশিণে কাজ করবে সরকার।আতিউর রহমান বলেন, ১ মাসেই মধ্যেই আরটিজিএস চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমার এক মাত্র পুঁজি ছিলো শিা। শিার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ল্েয পৌছানো সম্ভব। আজকে এখানে বাণিজ্যিক ব্যাংক আড়াই কোটি টাকা সহায়তা করলেন। যা সত্যিই আনন্দের বিষয়।আতিউর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নেই। কারও বলার আর সাহস হবে না। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশে আরেকটি বাংলাদেশ যোগ হয়েছে (অবলুপ্ত ছিটমহল)।ছিটমহলবাসীকে সকল ধরণের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে সিএসআর, এসএমই, গ্রীণ ব্যাংকিং, এখানকার নারী উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর শাখার মাধ্যমে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দেন গভর্নর।অনুষ্ঠানে এসব এলাকার মানুষের ঋণ গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলেও বিশেষ কর্মসূচির আওতায় তফসিলভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দ্রুত ঋণ প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ঋণ বিতরণের প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট ও ুদ্র ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব দেয়া হয়। পেশা অনুযায়ী ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। ঋণসহায়তা পেতে ছিটবাসীদের পাশের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে মাত্র ১০
টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান,পঞ্চড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান, এস.এম রবিউল হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক কে.এস. সামসী তাবরেজ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউল আলম (চলতি দায়িত্ব), সোনালী ব্যাংকের উপ-ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান, জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. অব্দুস সালাম, আ. স. ম. নুরুজ্জামান, দেবীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাত জামান চৌধুরী, দেবীগঞ্জের উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি যুগ্ম পরিচালক মো. ওছমান গণি, প্রটৌকল উপ বিভাগের অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।
করপোরেট স্যোসাল রেসপন্সিবিলটি (সিএসআর)কার্যক্রমের আওতায় সিএসআর মেলা বসানো হয়। এ কার্যক্রমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৪০টি স্টল বসানো হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১শ ১১টি ছিটমহলে যৌথ জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৪৪৯ জন। এখান থেকে ভারতের মূল ভুখন্ডে যেতে নিবন্ধিত হয়েছেন ৯৭৯ জন ছিটবাসী। এরমধ্যে কুড়িগ্রামের ১০টি ছিটমহলের ৩১৭ জন আছেন। শুধু দাসিয়ারছড়ার আছেন ২৮৪ জন। কুড়িগ্রামে ১০টি ছিটমহল থেকে ১শ৫৮ জন হিন্দু এবং ১শ৫৯ জন মুসলমান পরিবারের সদস্য ভারতে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে।