অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে রংপুরেপীরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
https://www.obolokon24.com/2015/09/rangpur_78.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :
পীরগঞ্জে নারী কেলেঙ্কারী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাদকসেবী প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান সুমন বাবু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর যৌথ মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কুমেদপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আ’লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ প্রমূখ। বক্তাগণ অবিলম্বে নারী কেলেঙ্কারী ও নেশাগ্রস্ত প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অপসারণের জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদ-উল-আযাহা’র দিনগত গভীররাতে খালাশপীরহাটে আমিরুজ্জামান সুমন ওরফে বাবু নামে এক প্রধান শিক্ষক মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুর গ্রামের এক বাড়িতে উত্ত্যক্ত করতে থাকলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে ওই প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দেয়। আমিরুজ্জামান সুমন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক। সে উপজেলার চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঈদের দিন রাত আনুমানিক সোয়া ১২টায় ওই প্রধান শিক্ষক মাতাল অবস্থায় খালাশপীর বন্দরের ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং হাকিম মিয়ার পুত্র আবু রায়হান মানিক (২৫) এর ঘরের জানালায় গিয়ে তার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ সময় রায়হানের স্ত্রী ভয়ে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসে, অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষক আমিরুজাম্মান সুমন দৌড়ে পালাতে থাকে। এলাকাবাসী তাকে চোর সন্দেহে আটক করে এবং ওই আটককৃত শিক্ষকের কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় তাকে গাছের সাথে বেধে গণধোলাই দেয়। পরে ওই রাতেই বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হলে এসআই ওসমান গণী ঘটনাস্থল থেকে সুমন মাষ্টারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অবশ্য একটি বিশেষ মহলের তদ্বিরে রাতারাতি থানা থেকেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেমায়েত আলী শাহ বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. মাজহারুল ইসলাম বলেন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।