সাদুল্যাপুরে ১৯৪ টি প্রা: বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2015/09/rangpur_33.html
সাদুল্যাপুর, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অল্প টাকায় নি¤œমানের শিক্ষা উপকরণ কিনে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক নেতা ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, প্রতি কাষ্টারের দায়িত্বরত ৮ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রধান শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছেন একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য মোট ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে ভ্যাট বাদ দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে চার হাজার ৭৫০ টাকার শিক্ষা উপকরণ কেনার কথা। উপকরণের মধ্যে রয়েছে খেলনা গাড়ি, বল, পুতুল ও বর্ণসহ একাধিক আইটেম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের অভিযোগ, শিক্ষা কর্মকর্তা, ৮ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা তাদের অনুসারী কয়েকজন প্রধান শিক্ষক নেতাদের নিয়ে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করেন। পরে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়ে নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া উপকরণগুলো পরিবহনের জন্য কোন যাতায়াতের টাকা দেওয়া হয়নি। ফলে দুর-দুরান্তের বিদ্যালয়ের প্রধানরা পকেটের টাকা খরচ করে উপকরণগুলো ভ্যান-রিকশার মাধ্যমে নিয়ে যান।
সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একাধিক প্রধান ও সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ক্রয় করা উপকরণগুলো নিম্নমানের। এসব উপকরণের দাম খুব বেশি হলে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা হবে। এ বছর নি¤œমানের উপকরণ কিনে সাদুল্যাপুর উপজেলার ১৯৪টি বিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা পকেটস্থ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাই উপকরণগুলো ক্রয় করেছেন। দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এসব উপকরণ সরবরাহ করা হয়। তবে উপকরণগুলো নি¤œমাণের হওয়ার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার কোন হস্তক্ষেপ ছিল না। তবে সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।