রংপুরে কৃষকের স্বপ্ন পানির নিচে
https://www.obolokon24.com/2015/09/rangpur_1.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো প্রধান :
দক্ষিণাঞ্চলের মাছ আর উত্তরাঞ্চলের ধান এনিয়েই হয়তো প্রবাদটি হয়েছে ‘মাছে ভাতে বাঙ্গালি’। আরেক প্রবাদে আছে ‘গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ’। দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন ধান চাষের পাশাপাশি মৎস্য চাষ করছে বানিজ্যিকভাবে। সেই পুকুর আছে কিন্তু মাছ নেই, গোলা আছে ধান নাই। শুরুতেই বিপর্যয় হবে মৎস্য চাষিরা ভাবতেই পারে নাই। অবিরাম বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তাদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে।
গত সপ্তাহে একাধারে ৫দিনের বৃষ্টিতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। বন্যায় আমন ক্ষেত, সবজি ক্ষেত এবং মৎস্য খামার সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত আমন চাষিদের ক্ষয় ক্ষতির হিসাব সারিয়ে উঠতে না উঠতেই মাঝে ৪দিনের বিরতিতে কিছুটা পানি কমলেও নতুন করে গত রোববার থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে আবরো দেখা দিয়েছে বন্যা। নতুন করে বন্যা দেখা দেয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় মাছের অভাব না দেখা দিলেও ভাতের অভাব দেখা দেওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গতকাল সোমবার উপজেলার টেপামধুপুর, বালাপাড়া, কুর্শা, শহীদবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের বিষন্নতা। টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের রোপা চাষি মকবুল হোসেন বলেন, অনেক টাকা খরচ করে তিন একর জমিতে রোপা লাগিয়েছি এখন সেই ক্ষেত বন্যার পানির নিচে। বালাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক নাসির উদ্দিন তার উচু জমিতে রোপা ধানের ক্ষেতেও পানির নিচে। একইভাবে জানান, মফিজ উদ্দিন, প্রবেশ চন্দ্র, আঃ বাতেন, মোস্তাফিজার রহমান, মিজানুর রহমাসহ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তারা বলেন, আমন ধান ঘরে না উঠলে এবার না খেয়ে থাকতে হবে। অপরদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার কয়েক’শ মৎস্য খামার।
উপজেলার তালুকসাহাবাজ এলাকার মৎস্য চাষি মাহবুবার রহমান বলেন, ধার-দেনা করে অনেক আশা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এখন তার খামারের প্রায় এক হাত উপর দিয়ে বন্যার পানি থাকায় সব মাছ বের হয়ে যাওয়ায় এখন মাছ শূন্য খামার। হরিচরনশর্মা গ্রামের মৎস্য চাষি বিজয় চন্দ্র বর্মন বলেন, এবছর তিনি প্রায় দশ লাখ টাকার খরচ করেছেন মাছ চাষের জন্য অবিরাম বৃষ্টিতে পানি আটক হওয়ায় তার খামারের সমস্ত মাছ বের হয়েছে। কিভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। প্রথম দফা বন্যায় যার প্রায় ৬৫ভাগ আমন ক্ষেত পানির নিচে ছিলো। কয়েকদিন রোদ হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠলেও উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সহায়তা চেয়ে তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এবছর উপজেলায় ১৮৯৬টি পুকুরে ও ২২১হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১৩৭১টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের মাছ আর উত্তরাঞ্চলের ধান এনিয়েই হয়তো প্রবাদটি হয়েছে ‘মাছে ভাতে বাঙ্গালি’। আরেক প্রবাদে আছে ‘গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ’। দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন ধান চাষের পাশাপাশি মৎস্য চাষ করছে বানিজ্যিকভাবে। সেই পুকুর আছে কিন্তু মাছ নেই, গোলা আছে ধান নাই। শুরুতেই বিপর্যয় হবে মৎস্য চাষিরা ভাবতেই পারে নাই। অবিরাম বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তাদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে।
গত সপ্তাহে একাধারে ৫দিনের বৃষ্টিতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। বন্যায় আমন ক্ষেত, সবজি ক্ষেত এবং মৎস্য খামার সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত আমন চাষিদের ক্ষয় ক্ষতির হিসাব সারিয়ে উঠতে না উঠতেই মাঝে ৪দিনের বিরতিতে কিছুটা পানি কমলেও নতুন করে গত রোববার থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে আবরো দেখা দিয়েছে বন্যা। নতুন করে বন্যা দেখা দেয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় মাছের অভাব না দেখা দিলেও ভাতের অভাব দেখা দেওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গতকাল সোমবার উপজেলার টেপামধুপুর, বালাপাড়া, কুর্শা, শহীদবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের বিষন্নতা। টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের রোপা চাষি মকবুল হোসেন বলেন, অনেক টাকা খরচ করে তিন একর জমিতে রোপা লাগিয়েছি এখন সেই ক্ষেত বন্যার পানির নিচে। বালাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক নাসির উদ্দিন তার উচু জমিতে রোপা ধানের ক্ষেতেও পানির নিচে। একইভাবে জানান, মফিজ উদ্দিন, প্রবেশ চন্দ্র, আঃ বাতেন, মোস্তাফিজার রহমান, মিজানুর রহমাসহ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তারা বলেন, আমন ধান ঘরে না উঠলে এবার না খেয়ে থাকতে হবে। অপরদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার কয়েক’শ মৎস্য খামার।
উপজেলার তালুকসাহাবাজ এলাকার মৎস্য চাষি মাহবুবার রহমান বলেন, ধার-দেনা করে অনেক আশা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এখন তার খামারের প্রায় এক হাত উপর দিয়ে বন্যার পানি থাকায় সব মাছ বের হয়ে যাওয়ায় এখন মাছ শূন্য খামার। হরিচরনশর্মা গ্রামের মৎস্য চাষি বিজয় চন্দ্র বর্মন বলেন, এবছর তিনি প্রায় দশ লাখ টাকার খরচ করেছেন মাছ চাষের জন্য অবিরাম বৃষ্টিতে পানি আটক হওয়ায় তার খামারের সমস্ত মাছ বের হয়েছে। কিভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। প্রথম দফা বন্যায় যার প্রায় ৬৫ভাগ আমন ক্ষেত পানির নিচে ছিলো। কয়েকদিন রোদ হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠলেও উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সহায়তা চেয়ে তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এবছর উপজেলায় ১৮৯৬টি পুকুরে ও ২২১হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১৩৭১টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।