জাপা এমপি শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তৃণমুল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ
https://www.obolokon24.com/2015/09/nilphamari_30.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে জেলা জাতীয়পাটির আহবায়ক নীলফামারী ৪ আসনের (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ)এমপি বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তৃণমুল নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা জাপার সভাপতি রশিদুল ইসলামের কার্যালয় ঘেরাও করে রেখে শওকত চৌধুরীর পোষ্টারের ছবিতে অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে দিয়ে সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপজেলা ও উপজেলার ৯ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলনে চালিয়ে যেতে থাকলে পরে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা জাপার সাধারন সম্পাদক আলম হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তৃণমুল নেতাকর্মীদের অভিযোগ গত দুই বছরে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নে এলাকার সংসদ সদস্য বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী সরকারের টিআর কাবিখা,কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল,গম ওটাকা ডিও মাধ্যমে এলাকার এমপির প্রতিনিধি রেজাউল হক ফিলিপ ও উপজেলা জাপার সহসভাপতি আলতানুর রহমান আজাদের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে। হতদরিদ্রদের টাকা আতœসাত,ভিজিএফের কাডে হস্তক্ষেপ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্য করে আসছে। এ ছাড়া তৃণমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের অবমুল্যায়ন করে কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় সাধারন জনগনের কাছে জাতীয়পাটিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এলাকায় মানুষের মুখে মুখে জাতীয় পাটির নাম মুছে যেতে বসেছে। তাই তারা বিরোধদিলীয় হুইপ শওকত চৌধুরীর অনিয়ম দুর্নীতির বিচার দাবি করেছে জাপা চেয়ারম্যান হোসেনই মহম্মদ এরশাদের কাছে। নতুবা তারা এলাকায় লাগাতার কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, যুগ্নসম্পাদক সুজা-উদ-দৌল্লাহ,প্রচার সম্পাদক তুহিন মিয়া,কৃষকপাটির উপজেলা সভাপতি মাসুদ রানা,কিশোরীগঞ্জ ইউনিয়নের জাপা সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ,বাহাগিলি ইউনিয়নের জাপা সভাপতি মুকুল শাহ, চাঁদখানা ইউনিয়নের জাপা সভাপতি হাফিজার রহমান,ওই ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক দুলাল হোসেন, উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি সাইদুর রহমান,সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাপা নেতা বাচ্চু মিয়া ও বেলাল হোসেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা জাপা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা জাপার সাধারন সম্পাদক আলম হোসেন বলেন তৃণমুল নেতাকর্মীরা এলাকার এমপির বিরুদ্ধে ভুল বুঝে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করেছিল। তাদের সাথে আমি কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এমপি সাহেব দুই একদিনের মধ্যে এলাকায় এলে তাদের সাথে বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করা হবে।