ঢেলে সাজানো হচ্ছে বিএনপিকে!
https://www.obolokon24.com/2015/09/bnp.html
ঢাকা ব্যুরো
দেশের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। দলটির তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত পুনর্গঠন করা হচ্ছে। স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম-মহাসচিবসহ নির্বাহী কমিটির প্রতিটি পর্যায় থেকে বাদ যাচ্ছেন নিষ্ক্রিয়রা। এদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অপক্ষোকৃত তরুণ, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, যোগ্য ও মেধাবী নেতারা। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের লন্ডন সফরে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে সেখানকার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চোখের চিকিৎসার পাশপাশি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দুই সপ্তাহের মতো সেখানে অবস্থান করবেন তিনি।
লন্ডন বিএনপির একজন নেতা জানিয়েছেন, কঠিন সময় অতিক্রম করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি। এ মুহূর্তে জেলে থাকা নেতা-কর্মীদের জামিনে মুক্ত করাই দলটির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এর পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করাই মূল চ্যালেঞ্জ। বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে দলের শীর্ষ দুই নেতার (চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান) আলোচনায় এগুলোই স্থান পাচ্ছে।
সূত্র জানায়, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিল করার চিন্তাভাবনা চলছে। এতে পুরো দলকে ঢেলে সাজানো হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারমান তারেক রহমানের আলোচনা হয়েছে। বিএনপির দুই দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে আন্দোলন থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন তারা কালো তালিকায় স্থান পাচ্ছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর দল পুনর্গঠন করে বিএনপি। ২০০৯ সালের জুন মাসে এক সঙ্গে ৭২টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ওই বছর ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল। পরের বছর জানুয়ারিতে গঠন করা হয় ৩৮৬ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি। তিন বছর মেয়াদী কমিটির সময় আড়াই বছর আগেই শেষ হয়েছে। এর আগে দুই দফা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে শেষপর্যন্ত সম্ভব হয়নি।