হিজরা সিন্ডিকেট সক্রিয়। স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যুবককে বানানো হয়েছে হিজড়া
https://www.obolokon24.com/2015/08/saidpur_31.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
যুবকটির নাম ছিল সাইদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া গ্রামে। দেখতে ছিল ভীষন সুন্দর। নাচ গানও করতো চমৎকার। ১৩ বছর আগে একই এলাকার রোজী খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের ৫ বছর বয়সে তাঁদের সংসারে ২ কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বড় মেয়ের নাম রাখা হয় স্নিগ্ধা আক্তার তাম্মি, ছোট মেয়ের নাম স্নেহা আক্তার শাম্মি।
মেয়েগুলোর বয়স যখন ৮ ও ৭ বছর তখন হঠাৎ একদিন নিখোঁজ হয়ে যায় সাইদুল। পরিবারে থাকা মা শাহজাদী বেগম, স্ত্রী রোজী খাতুন ও দুই কন্যা সন্তানরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ সাইদুলের উপার্জনই চলছিল তাদের সংসার। আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোজাখুজির পরও সন্ধান মেলেনি তাঁর। দুইদিন অনাহারে থেকে মা শাহজাদী বেগম ছেলের বউ ও নাতনীদের মুখে অন্ন তুলে দিতে অন্যের বাড়ী যায় ঝি-এর কাজ করার জন্য। দুই বাড়ি কাজ কর্ম করে যেগুলো খাবার পান তা দিয়ে তারা দু’ বেলা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে থাকে।
যুবকটির নাম ছিল সাইদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া গ্রামে। দেখতে ছিল ভীষন সুন্দর। নাচ গানও করতো চমৎকার। ১৩ বছর আগে একই এলাকার রোজী খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের ৫ বছর বয়সে তাঁদের সংসারে ২ কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বড় মেয়ের নাম রাখা হয় স্নিগ্ধা আক্তার তাম্মি, ছোট মেয়ের নাম স্নেহা আক্তার শাম্মি।
মেয়েগুলোর বয়স যখন ৮ ও ৭ বছর তখন হঠাৎ একদিন নিখোঁজ হয়ে যায় সাইদুল। পরিবারে থাকা মা শাহজাদী বেগম, স্ত্রী রোজী খাতুন ও দুই কন্যা সন্তানরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ সাইদুলের উপার্জনই চলছিল তাদের সংসার। আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোজাখুজির পরও সন্ধান মেলেনি তাঁর। দুইদিন অনাহারে থেকে মা শাহজাদী বেগম ছেলের বউ ও নাতনীদের মুখে অন্ন তুলে দিতে অন্যের বাড়ী যায় ঝি-এর কাজ করার জন্য। দুই বাড়ি কাজ কর্ম করে যেগুলো খাবার পান তা দিয়ে তারা দু’ বেলা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে থাকে।
শাহজাদী বেগম বলেন, নাতনীদের স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সংসারের সদস্যাদের পেটের অন্ন সহ নাতনীদের পড়াশুনা কিভাবে চলবে এ নিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। সাইদুলের স্ত্রী রোজী খাতুনও সংসারের চিন্তায় বেরিয়ে পড়েন কাজের সন্ধানে। অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে তিনি চাকুরী পান সৈয়দপুরের উত্তরা ইপিজেড এ। সেখানে মাস গেলে বেতন পান ৫ হাজার টাকা। শাহজাদী বেগম ও রোজী খাতুনের উপার্জিত অর্থে সংসারের হাল কিছুটা মজবুত হতে শুরু করে। এমন সময় নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৫ বছর পর বাড়ি ফেরে কান্না শুরু করে দেন সাইদুল ইসলাম। বাড়িতে কেউ মারা গেছেন এমন কষ্টে তিনি কান্না থামাতে চাননা। অনেক প্রশ্নের পর সাইদুল জানান, এক ব্যক্তিকে সংসারের অভাব অনটনের কথা জানালে ওই ব্যক্তি তাঁকে চোরাই পথে নিয়ে যায় ভারতের কলকাতা শহরে। বলা হয়েছিল ভারতীয় কিছু মালামালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। সেই মালামালগুলো বাংলাদেশে বিক্রি করতে পারলেই সংসারের অভাব অনটন থাকবেনা। কলকাতার ওই বাসায় রাতে ঘুমানোর পর সকালে সাইদুল ইসলাম দেখেন ঘুমানোর জায়গায় তিনি নেই। শুয়ে আছেন এক বিশাল কিনিকের বিছানায়। তলপেট ও গোপনাঙ্গে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। গোপনাঙ্গে ব্যাথার জায়গা দেখতেই তিনি দেখেন তার পুরুষাঙ্গ নেই। পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে হিজড়া বানানো হয়েছে। ওই কিনিকের রেজিষ্ট্রি খাতায় তার নাম লেখা রয়েছে ময়না। অনেক কষ্টে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে পথে ওই ব্যক্তিটা জোড় করে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় কলকাতার এক পতিতা পল্লীতে । সেখানে জোড় পূর্বক ইনজেকশন দেয়া হয় তাঁকে। প্রায় ১ মাস পর তার সর্ব শরীর হয়ে যায় মেয়ে মানুষের ন্যায়।
সাইদুল বলেন, শুধু তিনি একা নন। এমন অনেক সুন্দর যুবকরা রয়েছেন যারা দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। পুরুষাঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া। খুলনা, বরিশাল, হিলি, ফুলবাড়ী সহ পার্বতীপুরেও অনেক দালাল রয়েছে বলে জানায় তিনি। সে আরও জানায়, বর্তমানে তার সাংসারিক ও শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। একটি কিডনী খারাপ হয়ে গেছে তার। রোজগার করতে একেবারেই অপারগ। যারা তাঁর সংসার নষ্ট করেছে, যুবক থেকে তাকে বানিয়েছে হিজড়া তাদের শাস্তি দাবী করেন তিনি। সেই সাথে তাঁর কন্যাদের পড়াশুনার খরচ, মা ও স্ত্রীর সংসার চালাতে সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।