জাতীয় পতাকা উত্তোলন এ্যাস্মেবিলি পাঠ নিয়ে রংপুরে কাউনিয়ার নিজপাড়া আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকের কথায় গড়মিল ,অধ্যক্ষের দম্ভক্তিকর বক্তব্য
https://www.obolokon24.com/2015/08/rangpur_59.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরোা প্রধান :
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া সদর ইউনিয়নের নিজপাড়া আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন না করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রংপুর থেকে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকরা গত সোমবার সরেজমিনে যায়। এসময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মের বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে ৩জন শিক্ষক বলেন, প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতিদিনের মত আজো (সোমবার) এ্যাস্মেবিলির মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের দাবি করেন। দপ্তরী বাহিরে আছেন, দপ্তরির পরিবর্তে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহমান ও শহিদুল ইসলামের উপর এ্যাস্মেবিলির মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দিয়েছেন অধ্যক্ষ সাহেব। কিন্তু ওই দায়িত্ব পালনে তাদের উভয়ের মধ্যে গড়িমসি দেখা দেয়। সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহমান সোমবার সকাল সাড়ে ৯টারদিকে পতাকা উত্তোলন করে। কিন্তু এ্যাস্মেবিলির মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষের চেম্বারে টানানো থাকলেও তা রাখা হয়েছে পর্দার আড়ালে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
এসব বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত মাদ্রাসায় এ্যাস্মেবিলি হয় না, জাতীয় পতাকা একেক সময়, একেকজন উঠায় আর নামায়। ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সাথে গণিত শিক্ষকের কথার সাথে গড়মিল দেখা দেয়। এসময় ৩/৪জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকদের সামনে শিক্ষার্থীদের কথায় হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি মাদ্রাসার সভাপতি ৫নং বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, আমি অনেকদিন থেকে মাদ্রাসায় যাইনা। আজ (সোমবার) চাল বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে আপনাদের জানাবো বলে মন্তব্য করেন।
পরে গত বুধবার সকালে মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকরা সাক্ষাত করতে কাউনিয়াস্থ বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এসময় নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম প্রতিষ্ঠানে যেতে পারিনি, আর ঘটনাটি খেয়াল ছিল না, তাৎক্ষণিক তিনি মোবাইল ফোনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তিনি রংপুরে আছেন সাব জানিয়ে দেন। পরে অধ্যক্ষ সভাপতিকে তার মোবাইল ফোন সাংবাদিকদের দিতে বলেন। অধ্যক্ষের কথা মতো মাদ্রাসার সভাপতি তার মোবাইল ফোনটি সাংবাদিকদের হাতে ধরিয়ে দেন। এসময় অধ্যক্ষ আবুল হাসেম সিদ্দিকী জানতে চান কি হয়েছে? তার কথা মত প্রতিবেদক মাদ্রাসায় সমস্যার কথা বলতেই অধ্যক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়ে সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার মাদ্রাসায় সমস্যা আছে, তা আপনার কি? আপনাদের কে ডেকেছে? কাউনিয়ায় আর কি সাংবাদিক নেই, যে রংপুর থেকে আপনারা গেছেন? এটা কাউনিয়ার সাংবাদিক ও আমরা বুঝবো। এরপর প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে আর কোন কথা বলেননি। তবে সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঠিক করেননি, আর আমি তো দেখিনি যে,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সাংবাদিকদের কথা শুনে অবশেষে সভাপতি ইউপি িেচয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য এসএম কামরুল ইসলাম পলাশকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে যান। পরিদর্শনকালে ঘটনার সত্যতা পান। গত বুধবার সাংবাদিকের সাথে অধ্যক্ষের এমন আচরণ করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই দিন বিকেলে পত্রিকা অফিসে অফিসে ধর্ণা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন যাতে না হয়, সেজন্য তদবির চালিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা।
এব্যাপারে কাউনিয়ার বনগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা করা সমীচিন হয়নি। বর্তমান প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে শিক্ষকদের ভুমিকা রাখতে হবে। কিন্তু এখানে দেখছি তার বিপরীত। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান, ঘটনাটি দুঃখজনক, কারণ যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা সেই পতাকাকে অবমাননা কারিদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এ প্রত্যাশা করছি।
অধ্যক্ষ কর্তৃক মোবাইল ফোনে সাংবাদিকের সাখে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক রবিউল ইসলাম দুখু উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই শিক্ষককে ফোনে বলেছি,এমন কথা আপনার (অধ্যক্ষ) বলা ঠিক হয়নি। সাংবাদিকরা সারাদেশের যে কোন স্থানে যেতে পাবে বলে মন্তব্য করেন।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া সদর ইউনিয়নের নিজপাড়া আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন না করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রংপুর থেকে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকরা গত সোমবার সরেজমিনে যায়। এসময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মের বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে ৩জন শিক্ষক বলেন, প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতিদিনের মত আজো (সোমবার) এ্যাস্মেবিলির মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের দাবি করেন। দপ্তরী বাহিরে আছেন, দপ্তরির পরিবর্তে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহমান ও শহিদুল ইসলামের উপর এ্যাস্মেবিলির মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দিয়েছেন অধ্যক্ষ সাহেব। কিন্তু ওই দায়িত্ব পালনে তাদের উভয়ের মধ্যে গড়িমসি দেখা দেয়। সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহমান সোমবার সকাল সাড়ে ৯টারদিকে পতাকা উত্তোলন করে। কিন্তু এ্যাস্মেবিলির মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষের চেম্বারে টানানো থাকলেও তা রাখা হয়েছে পর্দার আড়ালে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
এসব বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত মাদ্রাসায় এ্যাস্মেবিলি হয় না, জাতীয় পতাকা একেক সময়, একেকজন উঠায় আর নামায়। ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সাথে গণিত শিক্ষকের কথার সাথে গড়মিল দেখা দেয়। এসময় ৩/৪জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকদের সামনে শিক্ষার্থীদের কথায় হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি মাদ্রাসার সভাপতি ৫নং বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, আমি অনেকদিন থেকে মাদ্রাসায় যাইনা। আজ (সোমবার) চাল বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে আপনাদের জানাবো বলে মন্তব্য করেন।
পরে গত বুধবার সকালে মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকরা সাক্ষাত করতে কাউনিয়াস্থ বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এসময় নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম প্রতিষ্ঠানে যেতে পারিনি, আর ঘটনাটি খেয়াল ছিল না, তাৎক্ষণিক তিনি মোবাইল ফোনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তিনি রংপুরে আছেন সাব জানিয়ে দেন। পরে অধ্যক্ষ সভাপতিকে তার মোবাইল ফোন সাংবাদিকদের দিতে বলেন। অধ্যক্ষের কথা মতো মাদ্রাসার সভাপতি তার মোবাইল ফোনটি সাংবাদিকদের হাতে ধরিয়ে দেন। এসময় অধ্যক্ষ আবুল হাসেম সিদ্দিকী জানতে চান কি হয়েছে? তার কথা মত প্রতিবেদক মাদ্রাসায় সমস্যার কথা বলতেই অধ্যক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়ে সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার মাদ্রাসায় সমস্যা আছে, তা আপনার কি? আপনাদের কে ডেকেছে? কাউনিয়ায় আর কি সাংবাদিক নেই, যে রংপুর থেকে আপনারা গেছেন? এটা কাউনিয়ার সাংবাদিক ও আমরা বুঝবো। এরপর প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে আর কোন কথা বলেননি। তবে সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঠিক করেননি, আর আমি তো দেখিনি যে,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সাংবাদিকদের কথা শুনে অবশেষে সভাপতি ইউপি িেচয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য এসএম কামরুল ইসলাম পলাশকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে যান। পরিদর্শনকালে ঘটনার সত্যতা পান। গত বুধবার সাংবাদিকের সাথে অধ্যক্ষের এমন আচরণ করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই দিন বিকেলে পত্রিকা অফিসে অফিসে ধর্ণা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন যাতে না হয়, সেজন্য তদবির চালিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা।
এব্যাপারে কাউনিয়ার বনগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা করা সমীচিন হয়নি। বর্তমান প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে শিক্ষকদের ভুমিকা রাখতে হবে। কিন্তু এখানে দেখছি তার বিপরীত। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান, ঘটনাটি দুঃখজনক, কারণ যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা সেই পতাকাকে অবমাননা কারিদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এ প্রত্যাশা করছি।
অধ্যক্ষ কর্তৃক মোবাইল ফোনে সাংবাদিকের সাখে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক রবিউল ইসলাম দুখু উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই শিক্ষককে ফোনে বলেছি,এমন কথা আপনার (অধ্যক্ষ) বলা ঠিক হয়নি। সাংবাদিকরা সারাদেশের যে কোন স্থানে যেতে পাবে বলে মন্তব্য করেন।