বিএসটিআই’র নকল লেবেলে নকল প্রসাধনীর জমজমাট ব্যবসা
https://www.obolokon24.com/2015/08/cosmatic.html
এ.আই পলাশ ঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সহ ভোগডাবুড়ী ও কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন ও চিলাহাটির বিভিন্ন হাটবাজারে নকল প্রসাধনীর ব্যবসা জমজমাটভাবে চলছে। দেশী বিদেশী বড় বড় কোম্পানীর হুবহু নকল লেবেল ছাপিয়ে সেই লেবেল নকল প্রসাধনীর গায়ে লাগিয়ে বাজার জাত করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। বিএসটিআই’র নকল লেবেল লাগিয়ে সল্প মূল্যের এই নকল প্রসাধনী গ্রাম গঞ্জের মানুষ অল্প দামে পেয়ে তাদের পরিবারের ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য খরিদ করে নিয়ে যাচ্ছে। আর এই নকল প্রসাধনী ব্যবহার করে অনেকেই মুখমন্ডলসহ দেহের বিভিন স্থানে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুই একটি ঝটিকা অভিযান আসলেও প্রসাধুনী মার্কেটে প্রবেশের পূর্বেই ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী, কেতকীবাড়ী ও চিলাহাটি,গোমনাতী,বামুনীয়ার বিভিন্ন হাটবাজারের অনেক কসমেটিক্সের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে এই নকল তেল, ¯েœা, পাউডার, লোশন, লিবিস্টিক, বেবী লোশন, সাবান, শ্যাম্পু, হেয়ার কালারসহ অসংখ্য নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বর্তমানে জমজমাটভাবে চলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কোহিনুর ক্যেমিকেল কোম্পানী, লিভার ব্রাদার্স, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, মেরীকো বাংলাদেশ সহ অসংখ্য কোম্পানীর হুবহু লেবেল ছাপিয়ে নকল প্রসাধনীর গায়ে লাগিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে ভারতের হিন্দুস্থান লিভার সহ সুনামধন্য কোম্পানীর লেবেল একই কায়দায় লাগিয়ে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রসাশনের ছত্র ছায়ায় থেকে তাদের ব্যবসা গ্রামগঞ্জ চালাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশের পণ্য বাজারজাত করতে হিমসিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এই নকল প্রসাধনীর তৈরীর কারখানা হচ্ছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায়। আমরা সেখান থেকেইে এই মালামালগুলো নিয়ে এসে বিক্রি করছি। এক হাজার টাকার এই নকল প্রসাধনী বিক্রি করলে লাভ হয় চার থেকে পাঁচশত টাকা। প্রকৃত কোম্পানীর এক হাজার টাকার প্রসাধনী বিক্রি করলে লাভ হয় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা। সেই কারণে গ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় এই ব্যবসা করছে এবং প্রসাশনকে ম্যানেজ করেই নকল প্রসাধনী কোম্পানীর মালিকরা তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে। এতে আমাদের করার কিছুই নেই। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন বাংলাদেশের যে সমস্ত বড় বড় কোম্পানী রয়েছে তারা সরকারকে রাজস্ব দিয়েই ব্যবসা করছে। অথচ এই নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা তারা স্থানীয় প্রসাশনকে ম্যানেজ করেই অবৈধ পথে কিভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে?