থামছে না বালু উত্তোলনকারীরা সৈয়দপুরে খোড়া নদীর ব্রীজ ও আবাদি জমি হুমকির মুখে
https://www.obolokon24.com/2015/04/-post_68.html
মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোড়া নদীতে বালু উত্তোলন ও ব্রীজের উপর দিয়ে বালুর ট্রাক্টর ওঠানামা কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর পার্শ্ববর্তী ফসলী জমিসহ ব্রীজটি। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর-দিনাজপুর, খানসামা ও পাকেরহাট এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পোড়ারহাট এলাকায় খোড়া নদীর উপর ব্রীজসহ প্রায় ১২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটির চারদিকে প্রচন্ড বালুর কারণে সেখানে ভারি যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। ওই নদীর ব্রীজের পাশ থেকে যাতে করে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে এজন্য ইউপি চেয়ারম্যানকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ওই এলাকার রাজু, সুখারু ও ফজলু সহ নাম না জানা আরও প্রায় ৭/৮ জন ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিনই ব্রীজের নিচের থেকে বালু উত্তোলন করে ব্রীজের উপর দিয়ে বালু ভর্তি ট্রাক্টর ওঠানামা করাচ্ছে।
গত পহেলা বৈশাখ সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, খোড়া নদীর ব্রীজের নিচ থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মাত্র ৬ ঘন্টায় ২৫ ট্রাক্টর বালু ভর্তি করে ওই ব্রীজ দিয়ে পাচার করা হয়েছে নির্ধারিত স্থানে। সেখানে শ্রমিকের সাথে কথা বলতে তারা বলেন, ওই এলাকার রাজু ও সুকারুর নির্দেশে বালু উত্তোলন হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনসহ মোন্নাফ নামের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বালু তোলা হচ্ছে। তারা বলেন, গত বছর বর্ষার আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করলেও বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে ২টি বালু উত্তোলন করা মেশিন জব্দ করা হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি তিনি। সেই সময় থেকে মাত্র একটি মাস বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। এরপর থেকে আবার একই অবস্থা। স্থানীয় লোকজন বলেন, বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমানের সাথে বালু উত্তোলনকারীদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেই অভিযোগ দিয়েও সুফল মিলছে না।
চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের আগেই যদি বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয় তাহলে খোড়া নদীর ব্রীজটি ধ্বসে পড়তে পারে। এতে করে দিনাজপুর, খানসামা, পাকেরহাটের সাথে সৈয়দপুরবাসীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। সেই সাথে নষ্ট হতে পারে প্রায় ৮শ একর ফসলি জমি।
এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গীর সাথে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ মিললেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আর কেউ ওই নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সাহসও কেউ করবে না বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোড়া নদীতে বালু উত্তোলন ও ব্রীজের উপর দিয়ে বালুর ট্রাক্টর ওঠানামা কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর পার্শ্ববর্তী ফসলী জমিসহ ব্রীজটি। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর-দিনাজপুর, খানসামা ও পাকেরহাট এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পোড়ারহাট এলাকায় খোড়া নদীর উপর ব্রীজসহ প্রায় ১২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটির চারদিকে প্রচন্ড বালুর কারণে সেখানে ভারি যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। ওই নদীর ব্রীজের পাশ থেকে যাতে করে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে এজন্য ইউপি চেয়ারম্যানকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ওই এলাকার রাজু, সুখারু ও ফজলু সহ নাম না জানা আরও প্রায় ৭/৮ জন ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিনই ব্রীজের নিচের থেকে বালু উত্তোলন করে ব্রীজের উপর দিয়ে বালু ভর্তি ট্রাক্টর ওঠানামা করাচ্ছে।
গত পহেলা বৈশাখ সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, খোড়া নদীর ব্রীজের নিচ থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মাত্র ৬ ঘন্টায় ২৫ ট্রাক্টর বালু ভর্তি করে ওই ব্রীজ দিয়ে পাচার করা হয়েছে নির্ধারিত স্থানে। সেখানে শ্রমিকের সাথে কথা বলতে তারা বলেন, ওই এলাকার রাজু ও সুকারুর নির্দেশে বালু উত্তোলন হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনসহ মোন্নাফ নামের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বালু তোলা হচ্ছে। তারা বলেন, গত বছর বর্ষার আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করলেও বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে ২টি বালু উত্তোলন করা মেশিন জব্দ করা হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি তিনি। সেই সময় থেকে মাত্র একটি মাস বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। এরপর থেকে আবার একই অবস্থা। স্থানীয় লোকজন বলেন, বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমানের সাথে বালু উত্তোলনকারীদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেই অভিযোগ দিয়েও সুফল মিলছে না।
চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের আগেই যদি বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয় তাহলে খোড়া নদীর ব্রীজটি ধ্বসে পড়তে পারে। এতে করে দিনাজপুর, খানসামা, পাকেরহাটের সাথে সৈয়দপুরবাসীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। সেই সাথে নষ্ট হতে পারে প্রায় ৮শ একর ফসলি জমি।
এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গীর সাথে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ মিললেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আর কেউ ওই নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সাহসও কেউ করবে না বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।