ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যে সয়লাব সৈয়দপুর
https://www.obolokon24.com/2015/04/-post_3.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যের কাছে সারাদেশের ন্যায় জিম্মি এখন সৈয়দপুরের মানুষ। বাজারজাত হওয়া বেশিরভাগ খাদ্য পণ্যই ভেজাল আর শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। সৈয়দপুর খাদ্য অধিদপ্তর মতে এসব খাদ্য দ্রব্য সৈয়দপুরে রয়েছে সেখানে ভেজালমুক্ত খাদ্য সামগ্রী পাওয়াটাই কষ্টকর। বাজারজাত হওয়া শতকরা ৮০ ভাগ খদ্যাপণ্যই ভেজাল ও বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রণে তৈরী।
সূত্র জানায়, ভেজাল খাদ্য খেয়ে প্রতি বছরই সৈয়দপুর সহ দেশবাসীর পেটে যাচ্ছে প্রায় ৩শ টনেরও বেশি ফরমালিন। এরফলে মরণ ব্যাথিতে ধুকে ধুকে জীবন যাপন করছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। ক্যান্সার, কঠিন চর্মরোগ, আলসার, লিভার ও কিডনি রোগ যেন পিছুই ছাড়ছে না। ওই সূত্র মতে, ভেজাল খাদ্য খেয়ে প্রতি বছর সৈয়দপুর সহ সারাদেশে অন্তত ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
পরিবেশ বাঁচাও গবেষণা কেন্দ্র মারফত জানা যায়, শুধুমাত্র ভেজাল খাদ্য গ্রহণের কারনেই দেশের প্রায় ২ লাখ লোক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন আড়াই লাখ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন ১ লাখ এছাড়া বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪ লাখেরও বেশি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ভেজাল খাদ্য খেয়ে সারাদেশের ন্যায় সৈয়দপুরের মানুষরা শুধু প্রতারিতই হচ্ছেন না, মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুকিতেও রয়েছেন।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুরে শহরে ছোট বড় মিলে প্রায় ৫শ টি কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের কারখানা রয়েছে প্রায় ৩শ টির মত। ২শটি কারখানায় নিয়মিত তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল খাদ্য। এছাড়া হোটেল রেঁস্তোরায় ভেজাল খাদ্যের সরবরাহের কমতি নেই। মাঝেমধ্যে ভেজাল বিষাক্ত খাদ্য রোধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেল জরিমানা করা হলেও রোধ করা যাচ্ছে না।
বেকারী ও মিষ্টিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রং। চানাচুর ও ঝিলাপি ভাজা হচ্ছে পোড়া মবিল দিয়ে। মুড়ি ভাজা হচ্ছে ইউরিয়া সার দিয়ে। মরা মুুরগী দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে সুপ। নানা ধরনের ফলে ফরমালিন ও কার্বোরাইড দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে নিয়মিত। সবজিতে রাসায়নিক কীটনাশক, বিসকুট, আইসক্রীম, কোলড্রিংক্স, জুস, আছার ও মিষ্টিতে টেক্সাটাইল ও লেদার রং ব্যবহার হচ্ছে নিয়মিত। মরিচ ও হলুদের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ইটের গুড়া। ধনিয়ায় মেশানো হচ্ছে স’মিলের গুড়া। এসব ভেজাল পূর্ণ উৎপাদক সৈয়দপুরের উর্দূভাষীরাই বলে বিভিন্ন জনপদ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোঃ মুসা জঙ্গীর সাথে। তিনি বলেন, ভেজাল রোধ করতে যে অধিদপ্তরের দায়িত্বে রয়েছে তারা সব জেনেও কেন যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তার কাছে কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য করেন।
ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যের কাছে সারাদেশের ন্যায় জিম্মি এখন সৈয়দপুরের মানুষ। বাজারজাত হওয়া বেশিরভাগ খাদ্য পণ্যই ভেজাল আর শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। সৈয়দপুর খাদ্য অধিদপ্তর মতে এসব খাদ্য দ্রব্য সৈয়দপুরে রয়েছে সেখানে ভেজালমুক্ত খাদ্য সামগ্রী পাওয়াটাই কষ্টকর। বাজারজাত হওয়া শতকরা ৮০ ভাগ খদ্যাপণ্যই ভেজাল ও বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রণে তৈরী।
সূত্র জানায়, ভেজাল খাদ্য খেয়ে প্রতি বছরই সৈয়দপুর সহ দেশবাসীর পেটে যাচ্ছে প্রায় ৩শ টনেরও বেশি ফরমালিন। এরফলে মরণ ব্যাথিতে ধুকে ধুকে জীবন যাপন করছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। ক্যান্সার, কঠিন চর্মরোগ, আলসার, লিভার ও কিডনি রোগ যেন পিছুই ছাড়ছে না। ওই সূত্র মতে, ভেজাল খাদ্য খেয়ে প্রতি বছর সৈয়দপুর সহ সারাদেশে অন্তত ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
পরিবেশ বাঁচাও গবেষণা কেন্দ্র মারফত জানা যায়, শুধুমাত্র ভেজাল খাদ্য গ্রহণের কারনেই দেশের প্রায় ২ লাখ লোক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন আড়াই লাখ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন ১ লাখ এছাড়া বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪ লাখেরও বেশি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ভেজাল খাদ্য খেয়ে সারাদেশের ন্যায় সৈয়দপুরের মানুষরা শুধু প্রতারিতই হচ্ছেন না, মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুকিতেও রয়েছেন।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুরে শহরে ছোট বড় মিলে প্রায় ৫শ টি কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের কারখানা রয়েছে প্রায় ৩শ টির মত। ২শটি কারখানায় নিয়মিত তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল খাদ্য। এছাড়া হোটেল রেঁস্তোরায় ভেজাল খাদ্যের সরবরাহের কমতি নেই। মাঝেমধ্যে ভেজাল বিষাক্ত খাদ্য রোধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেল জরিমানা করা হলেও রোধ করা যাচ্ছে না।
বেকারী ও মিষ্টিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রং। চানাচুর ও ঝিলাপি ভাজা হচ্ছে পোড়া মবিল দিয়ে। মুড়ি ভাজা হচ্ছে ইউরিয়া সার দিয়ে। মরা মুুরগী দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে সুপ। নানা ধরনের ফলে ফরমালিন ও কার্বোরাইড দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে নিয়মিত। সবজিতে রাসায়নিক কীটনাশক, বিসকুট, আইসক্রীম, কোলড্রিংক্স, জুস, আছার ও মিষ্টিতে টেক্সাটাইল ও লেদার রং ব্যবহার হচ্ছে নিয়মিত। মরিচ ও হলুদের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ইটের গুড়া। ধনিয়ায় মেশানো হচ্ছে স’মিলের গুড়া। এসব ভেজাল পূর্ণ উৎপাদক সৈয়দপুরের উর্দূভাষীরাই বলে বিভিন্ন জনপদ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোঃ মুসা জঙ্গীর সাথে। তিনি বলেন, ভেজাল রোধ করতে যে অধিদপ্তরের দায়িত্বে রয়েছে তারা সব জেনেও কেন যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তার কাছে কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য করেন।