বিনা টাকায় সৌদি আরবে লোক পাঠানো হবে
https://www.obolokon24.com/2015/02/post.html
ডেক্স রিপোর্ট : কার্যত বিনা টাকায় সৌদি আরবে লোক পাঠানো হবে বলে দৃঢ়চিত্তে আবার জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে কর্মসংস্থান নিয়ে যেতে কর্মীদের এক আনাও খরচ হবে না। তার বিমান ভাড়া, মেডিকেলসহ আনুষঙ্গিক সব দেবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। তবে নূন্যতম যে খরচটা হবে তা পাসপোর্ট তৈরি, দেশের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত বাবদ।’
সোমবার সকালে সৌদি আরব থেকে আসা উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক
শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ৯ টায় ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে এ অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলছেন নূন্যতম খরচে সৌদি আরবে লোক পাঠানো সম্ভব না। আমি আবারও দায়িত্ব নিয়ে বলছি সৌদি যেতে একজন শ্রমিকের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না। আমি হিসেবে করেই বলছি।’
কী পরিমাণ শ্রমিক সৌদি যাওয়ার সুযোগ পাবে,
জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে গৃহকর্মী নেয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারা বলছেন মাসে ১০ হাজার কর্মী তারা নেবেন। সে হিসেবে বছরে এক লাখ ২০ হাজার কর্মী সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কর্মীদের বেতন ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়ালের মধ্যে হবে। ১২০০ রিয়ালের কম হলে কর্মী পাঠাবো না।’
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন,
‘বৈঠকে দুই পক্ষই একটা বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। তা হচ্ছে, যে করেই হোক অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কর্মীদের সৌদি আরবে যেতে সব ধরনের খরচ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দেবে। এ ব্যাপারে প্রতিনিধিদলও একমত হয়েছে।’
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সৌদি আরবের প্রতিনিধিদল প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছে। যেখানে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। কীভাবে কোন পদ্ধতিতে কর্মীরা যাবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কী হবে, কী পরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন তা নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে ১৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। ২০০৮ সালের পর থেকে দেশটিতে কর্মী পাঠানো বন্ধ ছিল।