প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী নিহত রাশেদার পিতার পরিবারের।
https://www.obolokon24.com/2015/02/-post4_52.html
আনিছুর রহমান মানিক
ভ্রাম্যমান
প্রতিনিধিঃ- আজও বিচার হয়নি নিহত রাশেদার খুনিদের। মামলাসুত্রে জানাযায়,ডোমার উপজেলার গোমনাতী
ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী প্রামানিক পাড়া গ্রামের মৃত আবদার আলীর পুত্র আব্দুল লতিফের
সাথে একই ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী ঝাংগর পাড়া গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর কন্যা রাশেদা বেগমের
সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিগত ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ
হয়।
রাশেদা বেগমের সংসার জীবনে ৪ সন্তানের জননী হওয়ার পরেও লতিফের
সংসারে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে আসছে। গত ০১/০২/১৪ ইং তারিখে দুপুরে রাশেদার বড় মেয়ে আলো আখতার স্কুল থেকে এসে মা মা
করে ডাকতে থাকে তার মায়ের কোনো সাড়া না পেয়ে বই নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতেই দেখে তার মা রাশেদার লাশ গলায় রশি লাগানো অবস্থায় ঘরে ঝুলে আছে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে রশি কেটে লাশ মাটিতে নামায়। পরে ডোমার থানায় খবর দিলে মৃত রাশেদার স্বামী লতিফ বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরদিন ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে ডোমার থানায় একটি ইউডি মামলা হয়। এদিকে নানা নাটকিয়তার মধ্যদিয়ে নিহিত রাশেদার স্বামী আব্দুল লতিফ নতুন বিবাহের
জন্য কনের খুজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে ময়না তদন্ত রিপোর্ট
ডোমার থানায় আসলে তাতে রাশেদাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্যেখ করা
হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করে। মামলা নম্বর-০২, তারিখ-০৫/১২/১৪ ইং। উক্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই জাকির হোসেন জানান,আমি সরেজমিনে তদন্ত করছি, এপর্যন্ত কোনো আসামী ধরা পরে নাই তদন্ত অব্যাহত আছে । নিহতের স্বামীর সাথে বারবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হই। অদ্যবদি দেখা না হওয়ায় তার কাছথেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নাই। পুলিশ ধারনা করছে প্রতিবেশী অথবা তার স্বামী আব্দুল লতিফ নিজেই গলাটিপে হত্যা করে
লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক
শাস্তির জোর দাবী জানান নিহিত রাশেদার পিতার পরিবার।