অবলোকনের পক্ষ থেকে সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা
https://www.obolokon24.com/2015/01/blog-post_20.html
প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে বছর বরণের কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা,
রাত ১২টা ১ মিনিটে সেখানে নেচে-গেয়ে তরুণ-তরুণীরা আনন্দের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের উৎসবে অংশ নেয়।
বর্ষবরণের উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য রাজধানীতে র্যাব ও পুলিশ সদস্য সক্রিয় রয়েছে।
বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢোকা বিকাল থেকে পুলিশ বন্ধ করে দিলেও অনেকে দুপুরের আগেই ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন এবং বর্ষবরণের উৎসবে শামিল হন।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ছিল আগুনের খেলাও। কাউকে দেখা যায় আতশবাজি ফোটাতে, অনেকে হাজির হন ঢোল আর খোল-জুরির ঝংকার নিয়ে।
শুধু টিএসসি নয়, ক্যাম্পাসজুড়েই
বছর শুরুর প্রথম প্রহরে তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাবরের মতো থাকলেও এবার বর্ষবরণের উৎসবে সরব ছিল রাজধানীর নতুন বিনোদন কেন্দ্র হাতির ঝিল। এছাড়া ঢাকার নানা প্রান্তে বর্ষবরণের উচ্ছ্বলতা দেখা যায়।
ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে নতুন বছর বরণে নানা আয়োজন ছিল। তবে তা সমাজের নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যেই ছিল সীমাবদ্ধ।
ঢাকার বাইরে কক্সবাজার সৈকতে ২০১৫ সাল বরণে নানা প্রস্তুতি চলছিল কয়েকদিন ধরে।
সূর্যকে পৃথিবীর আবর্তনের দিক অনুসরণ করে অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পর বাংলাদেশে ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বেজেছে।
অস্ট্রেলিয়ার অকল্যান্ডে বিশাল জনসমাগম আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। সিডনির অপেরা হাউসের সেই আলোকচ্ছটা উজ্জ্বল ছিল আগের বছরের মতোই।
হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া হারবারে অগণিত মানুষ আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। জাপানে বর্ষবরণের রীতি অনুযায়ী মানুষ বিভিন্ন উপাসনালয়ে সমবেত হয়ে নতুন বছরে শুভকামনা নিয়ে প্রার্থনায় শামিল হয়।
নতুন বছর বরণে শেষ মূহূর্তের আয়োজন চলছে ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোতেও। লন্ডনে টেমস নদীর তীরে বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে।
তবে এয়ারএশিয়ার বিমান দুর্ঘটনা ম্লান করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষবরণ। সেখানে এবার সব উৎসব বন্ধ রয়েছে।