সেশনজটের ব্যাখ্যা দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
https://www.obolokon24.com/2014/12/blog-post_93.html
স্টাফ
রিপোর্টার- গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সিনেট সদস্যদের এক সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো করছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. হারম্ননুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল দিক থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পরীৰা
দেয়ার তিন মাস পরই রেজাল্ট প্রকাশ করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সফলতা।’তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল দিক থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পরীৰা
লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হারম্ননুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের কারণ তিনটি। সেগুলো হলো- কেন্দ্রীভূত প্রশাসন, গতানুগতিক প্রশাসন পরিচালনা ও পরীৰা ব্যবস’াপনা এবং হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি।’ এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট বাড়ছে বলে উলেস্নখ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করতে ৬টি বিভাগীয় শহরে (বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম) ভাড়া ভবনে স’াপিত আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে জনবল নিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে পুরোমাত্রায় সক্রিয় ও গতিশীল করা হয়েছে। গাজীপুরের পরিবর্তে এসব কেন্দ্র থেকে এখন সকল পরীৰা সামগ্রী বিতরণ-গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্রে উচ্চ ডিগ্রিধারী ৬ জন পরিচালককে সমপ্রতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তারা স্ব স্ব কেন্দ্রে বর্তমানে কর্মরত আছেন।’
ড. হারম্ননুর রশিদ বলেন, ‘নিজস্ব জমিতে ভৌত অবকাঠামো গড়ে তুলে স’ায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লৰ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা ও শিৰা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় স’ানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে ভূমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং ডিপিপি তৈরি করে ইউজিসির মাধ্যমে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।’
সেশনজট নিরসনে কিছু পদৰেপের কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৩-২০১৪ শিৰাবর্ষের স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) কোর্সের শিৰার্থীরা যাতে ৪ বছরে অনার্স ও ৩ বছরে ডিগ্রি পাস করতে পারে, সেজন্য প্রতি বছরের পরীৰার নির্দিষ্ট সময়সূচি অগ্রিম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের এবং এখন থেকে যারা ভর্তি হবে তাদের ৰেত্রে কোনো সেশনজট থাকবে না।’
ভিসি বলেন, ‘বিভিন্ন বর্ষের পুরাতন শিৰার্থী তাদের সেশনজট নিরসনে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে এবং শিগগির ঘোষণা করা হবে। ফলে সেশনজট ১ বছর থেকে ৪ মাস পর্যনৱ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’