পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
https://www.obolokon24.com/2014/12/blog-post_244.html
স্টাফ রিপোর্টার: জুনিয়র স্কুল (অষ্টম) সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল (মাদ্রাসা) সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। জেএসসিতে পাসের হার ৮৯.৮৫ শতাংশ, জেডিসির পাসের হার ৯৩.৫০ শতাংশ।
জেএসসি ও জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ জন। অন্যদিকে,
প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৭.৯২ এবং ইবতেদায়ীতে পাস করেছে ৯৫.৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। অনলাইন ফলাফল পাওয়া যাবে :http://www.educationboardresults.gov.bd এ ঠিকানায়।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেএসসি-জেডিসির ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন।
দুটি পরীক্ষায় এবার ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৭ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৫ জন অংশ নিয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আজ ফলাফল প্রকাশের এ তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় জেএসসি-জেডিসির ফল এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ফল গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ৩০ ডিসেম্বর সময় দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, একইদিনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন বছরের বইও তুলে দেয়া হবে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে পিএসসি ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩০ নভেম্বর। এবার প্রাথমিক সমাপনীতে পরীক্ষার্থীয় অংশ নিয়েছে ২৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬১৩ জন। আর ইবতেদায়ীতে ৩ লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জন।
অন্যদিকে এবারের জেএসসি ও জেডিসির পরীক্ষা গত ২ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকেলেও হরতালের কারণে তা পিছিয়ে শুরু হয় ৫ নভেম্বর তারিখে। এবার মোট ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল জানা যাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর http://dpe.teletalk.com.bd থেকেও। আর শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যবে। এছাড়া যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে JDC লিখে স্পেস দিয়ে PSC ফল জানতে EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে। এছাড়া ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফল জানতে EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।